আধুনিক সাহিত্য/ডি প্রোফণ্ডিস

ডি প্রোফণ্ডিস।

টেনিসন এই কবিতাটিকে The Two Greetings কহিয়াছেন। অর্থাৎ ইহাতে তাঁহার সন্তানটিকে দুইভাবে তিনি সম্ভাষণ করিয়াছেন। প্রথমত তাঁহার নিজের সন্তান বলিয়া, দ্বিতীয়ত তাহার আপনাকে তফাত করিয়া। এক তাহার মর্তজীবন ধরিয়া, আর-এক তাহার চিরন্তন সত্তা ধরিয়া। একটিতে তাহাকে আংশিকভাবে দেখিয়া, আর-একটিতে তাঁহাকে সর্বতোভাবে দেখিয়া তাহার সন্তানের মধ্যে তিনি দুই ভাগ দেখিতে পাইয়াছেন; একটি ভাগকে তিনি স্নেহ করেন, আর-একটি ভাগকে তিনি ভক্তি করেন। প্রথম সম্ভাষণ স্নেহের সম্ভাষণ, দ্বিতীয় সম্ভাষণ ভক্তির।

 প্রথম ভাগ। প্রথম, শিশু জন্মিতেই তিনি ভাবিলেন এ কোথা হইতে আসিল। বৈদিক ঋষিকবিরা মহা অন্ধকারের রাজ্য হইতে, দিগন্তপ্রসারিত সমুদ্রগর্ভ হইতে তরুণ সূর্যকে উঠিতে দেখিয়া যেমন সসমে জিজ্ঞাসা করিতেন, ‘এ কোথা হইতে আসিল’, তেমনি সসম্ভ্রমে কবি জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘এ কোথা হইতে আসিল’। তিনি দেখিলেন, এই শিশুটি যে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছে সেই পৃথিবীরই সহোদর। মহাসৌরজগতের যমজ ভ্রাতা। তিনি তাহাকে সম্ভাষণ করিয়া কহিলেন, ‘বৎস আমার, সেই মহাসমুদ্র, যেখানে যাহা-কিছু-ছিল’র মধ্যে যাহাকিছু-হইবে— অর্থাৎ অতীতের মধ্যে ভবিষ্যৎ কোটি-কোটি যুগযুগান্তর ধরিয়া অগণ্য আবর্তমান জ্যোতিঃপুঞ্জের মহামরুর মধ্যে ঘূর্ণমান হইতেছিল, তুমি সেইখান হইতে আসিতেছ। সেইখান হইতেই সূর্য আসিয়াছে, পৃথিবী ও চন্দ্র আসিয়াছে এবং তাহার অন্যান্য গ্রহসহোদবগণ আসিয়াছে। অতীতের সেই উষগর্ভে কবি প্রবেশ করিয়া দেখিলেন অপরিস্ফুট পৃথিবীর কারণপুঞ্জ যেখানে আবর্তিত হইতেছে আজিকার সদ্যোজাত শিশুটির কারণপুঞ্জ সেইখানে ঘুরিতেছে। উভয়ের বয়স এক; কেবল একজন ত্বরায় আমাদের চক্ষে প্রকাশিত হইয়াছে, আর-একজন প্রকাশিত হইতে বিলম্ব করিয়াছে।

Out of the deep, my child, out of the deep,
Where all that was to be, in all that was,
Whirl'd for a million æons thro' the vast
Waste dawn of multitudinous cddying light—
Out of the deep, my child, out of the deep,
Thro' all this changing world of changeless law,
And every phase of ever-heightening life,
And nine long months of antenatal gloom,
With this last moon, this crescent—her dark orb
Touched with earth's light—thou comest, darling boy.

অতীতের কথা শেষ হইয়াছে, এখন বর্তমানের কথা আসিতেছে। কবি শিশুটির পানে চাহিয়া দেখিলেন। দেখিলেন, অতীতকাল যাহাকে এত যত্নে লালন পালন করিয়া আসিতেছে, সে কে। সে তাহারই প্রাণাধিক পুত্র। তাঁহারই পুত্রকে চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারার সঙ্গে অতীতমাতা এক গর্ভে ধারণ করিয়াছে, এক জ্যোতির্ময় দোলায় দোলাইয়াছে, এক স্তন পান করাইয়া পুষ্ট করিয়াছে, আজ তাহারই হস্তে সমর্পণ করিল। তাঁহার আজিকার এই প্রাণাধিক বৎস প্রকৃতির এতদিনকার যত্নের ধন। তাহাকে কহিলেন, ‘তুই আমাদের আপনার ধন। তোর সর্বাংশসুন্দর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও গঠন ভাবী সর্বাঙ্গসুন্দর বয়স্ক পুরুষের ভবিষ্যৎ সূচনা করিতেছে। আমার স্ত্রীর ও আমার মুখ ও গঠন তোর মুখের ও গঠনের মধ্যে অচ্ছেদ্যবন্ধনে বিবাহিত হইয়াছে।’ কবি দেখিলেন, যে অনাদি অতীতের ধন সে আজ নিতান্তই তাঁহাদের। অবশেষে তাহার ভবিষ্যতের দিকে চাহিয়া দেখিলেন ও কহিলেন—

Live, and be happy, in thyself, and serve
This mortal race thy kin so well, that men
May bless thee as we bless thee, O young life,
Breaking with laughter from the dark; and may
The fated channel where thy motion lives
Be prosperously shaped, and sway thy course
Along the years of haste and random youth
Unshattered; then full current thro' full man;
And last in kindly curves, with gentlest fall,
By quiet fields, a slowly dying power,
To that last deep where we and thou are still.

এখন আর সে নিতান্তই তাঁহাদের নহে। এখন তাহার নিজত্ব বিকশিত হইয়াছে। এখন তাহার নিজের কাজ আছে। কবি তাহার মর্তজীবনের তিনটি অবস্থা সমালোচনা করিয়াছেন। প্রথমে মর্তজীবনের আদিকারণ আলোচনা করিলেন, পরে তাহার জন্ম অর্থাৎ মনুষ্যশরীরধারণ আলোচনা করিলেন ও পরে তাহার পার্থিব জীবন আলোচনা করিলেন। এইখানেই সমস্ত ফুরাইল। প্রথম সম্ভাষণ শেষ হইল। এই সম্ভাষণে কবি একটি মর্তের মানুষকে সম্ভাষণ করিয়াছেন। যতক্ষণ সে মনুষ্য ততক্ষণ সে তাঁহার। তাঁহাকে সমর্পণ করিবার জন্যই অতীত ইহাকে গড়িয়াছে। গঠিত অবস্থায় দেখিলেন সে তাঁহারই মতো।

 যাহা হউক, এইখানেই সমস্ত শেষ হইয়া যায়; জীবন আরম্ভ হইল, জীবন শেষও হইল। তখন জীবনের সমাপ্তির উপর কবি দাড়াইয়া দুর-দুরান্তরে দৃষ্টি চালনা করিলেন। দেখিলেন, জীবন শেষ হইল, তাঁহার সন্তান শেষ হইল, কিন্তু যে সুত্র বাহিয়া এই সন্তান আসিয়াছে সেই সুত্রের শেষ হইল না। তিনি এখন দেখিলেন, অনন্ত পথের একজন পথিক, পথের মধ্যে অবস্থিত তাহার গৃহে পৃথিবীতলে অতিথি হইয়াছে। এই আতিথ্যজীবনকে সন্তান বলে, মনুষ্য বলে। আতিথ্যজীবন ফুরায়, সন্তানও ফুরায়, কিন্তু পথিক ফুরায় না। প্রথমে তিনি সেই অতিথিকে সম্ভাষণ করিলেন, এখন সেই মহাপান্থকে সম্ভাষণ করিতেছেন। এখন পৃথিবীর অতিথিকে নহে, মহাকালের অতিথিকে সম্ভাষণ করিলেন। এখন তিনি দেখিতেছেন যে, এই পথিক সৌরজগতেরও জ্যেষ্ঠভ্রাতা। প্রথম সম্ভাষণে তিনি কোটি কোটি যুগ ও আবর্তমান আলোকের নির্মাণশালার উল্লেখ করিয়াছেন, অপরিবর্তনীয় পরিবর্তনের জগতে ক্রমোত্থানশীল জীবনের উল্লেখ করিয়াছেন এবং কহিয়াছেন—

With this last moon, this crescent—her dark orb
Touched with earth's light—thou comest

অর্থাৎ মনুষ্যের জন্মও এইরূপ চন্দ্রকলার ন্যায়; তাহার একাংশ পৃথিবীর জীবন, পৃথিবীর বুদ্ধি পাইয়া আলোকিত হয়। দ্বিতীয় ভাগে যাহাকে সম্ভাষণ করিতেছেন তাহার কারণ আলোচনা করিতে গিয়া কবি সময়ের সংখ্যা গণনা করেন নাই, নির্মাণের উপাদান উল্লেখ করেন নাই। এইবার তিনি কহিতেছেন—

Out of the deep, my child, out of the deep,
From that great deep, before our world begins,
Whereon the Spirit of God moves as He will—
Out of the deep, my child, out of the deep,
From that true world within the world we see,
Whereof our world is but the bounding shore—
Out of the deep, my child, out of the deep,

With this ninth moon, that sends the hidden sun
Down yon dark sea, thou comest, darling boy.

এবার কবি যে সমুদ্রের কথা উল্লেখ করিয়াছেন তাহা আলোকের সমুদ্র নহে, অতীত বা ভবিষ্যৎ কালের দিকে তাহার উপকূল নাই, তাহা তিন কাল মগ্ন করিয়া বিরাজ করিতেছে। জগতের আত্মাকে, তিনি উল্লেখ করিতেছেন। জগতের অন্তরস্থিত যথার্থ জগতের কথা বলিতেছেন। বাহ্যজগতে সেই অন্তর্জগৎকে সীমাবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে মাত্র।

Out of the deep, spirit, out of the deep,
With this ninth moon, that sends the hidden sun
Down yon dark sea, thou comest, darling boy.

সেই সমুদ্র হইতে তুমি আসিতেছ। জ্যোতির্ময় সূর্যকে সমুদ্রতলে বিসর্জন দিয়া ক্ষীণালোকে চন্দ্র উদিত হইল। তাহার সঙ্গে সঙ্গে তুমিও উদিত হইলে, তুমি মহাজ্যোতিকে বিসর্জন করিয়া আসিলে।

 পূর্বে যে মনুষ্যকে কবি সম্ভাষণ করিয়াছিলেন সে অপরিস্ফুটতার অবস্থা হইতে পরিস্ফুটতা প্রাপ্ত হইয়াছে। এবারে কবি আত্মাকে সম্ভাষণ করিতেছেন সে পূর্ণ অবস্থা হইতে অপূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছে।

For in the world, which is not ours, They said
'Let us make man' and that which should be man,
From that one light no man can look upon,
Drew to this shore lit by suns and moons
And all the shadows.

‘সে জগৎ আমাদের নহে।’ সে জগৎ? কে জানে কোন্ জগৎ। মহাকবি আদিকবির মনোজগৎ কি? They said—তাহারা কহিল। কাহারা? কে জানে কাহারা! কবি আলোকের রাজ্যে অন্ধ, এই নিমিত্ত তাঁহার কথা অস্পষ্ট। তিনি কহিতেছেন, ‘যে জগৎ আমাদের নহে, সেই জগতে তাহারা কহিল: আইস, আমরা মনুষ্য হই।’ ভাবী মনুষ্য মনুষ্যচক্ষুর-অসহনীয় সেই এক-আলোক হইতে এই ছায়ালোকিত উপকূলে আসিয়া উপস্থিত হইল। one light—এক পরমজ্যোতি হইতে তাহারা আসিতেছে। সেই জ্যোতির তাহারা অংশ।

O dear spirit half-lost
In thine own shadow and this fleshly sign
That thou art thou—who wailest being born
And banished into mystery, and the pain
of this divisible indivisible world,
Among the numerable-innumerable
Sun, sun, and sun, thro' finite-infinite space
In finite-infinite Time—our mortal veil
And shattered phantom of that infinite one,
Who made thee unconceivably Thyself
Out of this World-self and all in all—
Live thou.

হে আত্মা, তুমি কোথা হইতে কোথায় আসিয়াছ! তুমি কী হইতে কী হইয়াছ! তুমি যে জগতে আসিয়াছ তাহাকে ভাগ করিয়া শেষ করা যায়। তখন যে এক-জগতে ছিলে তাহা গণনার জগৎ নহে। এখন যে জগতে আসিয়াছ, এখানে সূর্য নক্ষত্র গণনা করিয়া শেষ করা যায় না, তথাপি গণনা করা যায়। তখন অসীম দেশে অসীম কালে ছিলে। এখন যে দেশে যে কালে নির্বাসিত হইয়াছ তাহার সীমা পাইতেছি না, অথচ সীমা আছে। তাহা সীমা-বিভক্ত অসীম।

 কিন্তু এইখানেই তোমার শেষ নহে। তুমি অসীমের নিকট হইতে। অসীম দূরে আসিয়াছ; তুমি অনন্ত—কাল ধরিয়া ক্রমশ তাহার নিকটবর্তী হইতে থাকিবে। তোমাকে আর কী কহিব—

Live thou; and of the grain and husk, the grape
And ivyberry, choose; and still depart
From death to death thro’ life and life find
Nearer and ever nearer Him, Who wrought
Not matter, nor the finite-infinite,
But this main miracle, that thou art thou,
With power on thine own act and on the world.

প্রথম সম্ভাষণে মনুষ্যভাবে তোমাকে কহিয়াছিলাম—

Live, and be happy in thyself, and serve
This mortal race the kin.

বাঁচিয়া থাকো; তুমি সুখী হও, তোমার স্বজাতীয় জীবদিগকে সুখী করো ও অবশেষে বিনা কষ্টে ধীরে ধীরে মৃত্যু লাভ করে। মানুষের পক্ষে ইহা অপেক্ষা আর কী আশীর্বাদ আছে? কিন্তু দ্বিতীয় সম্ভাষণে তোমাকে কহিতেছি ‘বাচিয়া থাকো’ এখানে বাঁচিয়া থাকার অর্থ অমরতা। জন্মে জন্মে যাহা ভালো তাহাই গ্রহণ করো, যাহা মন্দ তাহাই পরিত্যাগ করে ও পদে পদে মৃত্যুর দ্বারসমূহ অতিক্রম করিয়া অমৃতের দিকে ধাবমান হও। দুই সম্ভাষণে দুই প্রকারের বিভিন্ন আশীর্বাদ কেন করিলাম? না, প্রথমবারে আমি বস্তু (matter) ও সসীম-অসীমকে সম্বোধন করিয়াছিলাম। দ্বিতীয়বারে আমি তোকে সম্ভাষণ করিতেছি who art ‘not matter, nor the finite-infinite, but this main miracle, that thou art thou, with power on thine own act and on the world.’

 সন্তানের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কবি এক অন্য রাজ্যের মধ্যে গিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। এই অনন্তমন্দিরে গিয়া তিনি কাহাকে দেখিতে পাইলেন? কী গান গাহিয়া উঠিলেন?—

Hallowed be Thy name—Hallelujah—
Infinite Ideality!
Immeasurable Reality;
Infinite Personality:
Hallowed be Thy name— Hallelujah;
We feel we are nothing— for all is Thou and in Thee:
We feel we are something— that also has come from
Thee:
We know we are nothing— But Thou wilt help us to be.
Hallowed be Thy name— Hallelujah!

অনন্ত ভাব। অপরিমেয় সত্য। অপরিসীম পুরুষ। অনন্ত ভাব আমাদের হইতে অত্যন্ত দূরবর্তী। কিছুতেই তাহার কাছে যাইতে পারি। অবশেষে সেই ভাবমাত্রাকে যখন সত্য বলিয়া জানিলাম তখন তিনি আমাদের আরো কাছে আসিলেন। কিন্তু তাঁহাকে কেবলমাত্র সত্য বলিয়া জানিয়া তৃপ্তি হয় না। যখন জানিলাম তিনি অসীম পুরুষ তখন তিনি আমাদের কাছে আসিলেন, তখন তাহাকে আমরা প্রীতি করিতে পারিলাম। তখন তাহাকে কহিলাম, তোমার জয় হউক।

 We feel we are nothing— for all is Thou and in Thee: ইহা অতীতের কথা। যখন আমরা তোমার মধ্যে ছিলাম তখন সকলই তুমি। ইহাই আমাদের ভাব মাত্র। তোমার মধ্যে আমরা ভাব মাত্রে ছিলাম। অবশেষে তোমার কাছ হইতে যখন আসিলাম তখন অনুভব করিতে লাগিলাম, আমরা কিছু: We feel we are something that also has come from Thee। ইহা বর্তমানের কথা, ইহাই আমাদের সত্য। এখন আমরা কিছু হইয়াছি, আমরা সত্য হইয়াছি। We know we are nothing but Thou wilt help us to be: ইহাই ভবিষ্যতের কথা। আমরা জানি আমরা কিছুই নই— তুমি আমাদের ক্রমশই গঠিত করিয়া তুলিতেছ, আমাদের ব্যক্ত করিয়া তুলিতেছ। মৃত্যুর মধ্য দিয়া নূতন নূতন সত্য, নৃতন নূতন জ্ঞান শিখাইয়া আমাদের পূর্ণ ব্যক্তি করিয়া তুলিতেছ। কোনো কালেই তাহা হইতে পারিব না, চিরকালই Thou wilt help us to be। অপূর্ণতা হইতে পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হইবার আনন্দ আমরা চিরকাল ভোগ করিব। তোমার জয় হউক। মর্তজীবনেও এই কমোন্নতির তুলনা মিলে। মনুষ্য প্রথমে এক মহাবাপরাশির মধ্যে, সমস্ত জগতের আদিভূতের মধ্যে মিলিয়া ছিল। ক্রমে ক্রমে অল্পে অল্পে পৃথক হইয়া মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করিল। অবশেষে যতই সে বড় হইতে লাগিল, অভিজ্ঞতা লাভ করিতে লাগিল, ততই তাহার ব্যক্তিত্ব জন্মিতে লাগিল। এই ক্রম অনুসারেই কবি ঈশ্বরকে প্রথমে অনন্ত ভাব, পরে অপরিমেয় সত্য ও তৎপরে অপরিসীম পুরুষ বলিয়াছেন। এইখানে কবিতা শেষ হইল।

 আশ্বিন ১২৮৮

 

——