লুয়া ত্রুটি মডিউল:Header_template এর 348 নং লাইনে: bad argument #1 to 'next' (table expected, got nil)।

কলিকাতা কল্পলতা

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

কলিকাতা কল্পলতা
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম প্রকাশ: অজানা
দোসর সংস্করণ: জানুয়ারি ২০১৯
প্রকাশক: দোসর পাবলিকেশন

এ/৬৯ বাঘাযতীন কলোনী, রিজেণ্ট এস্টেট, কলকাতা – ৭০০ ০৯২
থেকে প্রকাশিত এবং জয়শ্রী প্রেস, ৯১/১বি বৈঠকখানা রোড,
কলকাতা-৭০০ ০০৯ থেকে মুদ্রিত॥
ই-মেল: doshor.publication@gmail.com
ওয়েবসাইট:suy.doshor.com


ISBN: 978-81-938902-7-1

প্রচ্ছদ শিল্পী
সারফুদ্দিন আহমেদ

শব্দ গ্রন্থন।
অরিন্দম দাস

বর্ণ প্রতিস্থাপন
সংকল্প সেনগুপ্ত

প্রকাশক এবং স্বত্বাধিকারীর লিখিত অনুমতি ছাড়া এই বইয়ের কোনও
অংশেরই কোনওরূপ পুনরুৎপাদন বা প্রতিলিপি করা যাবে না। এই শর্ত
লম্বিত হলে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Kolikata Kalpalata
Essay
By Rangalal Bandyopadhyay
published by Doshor Publication. Kolkata

প্রস্তাবনা।

...এইক্ষণেও কলিকাতা নগরে এমন দুই চারিজন তোক পাওয়া যায় যাঁহারা অমরাবতীতুল্য চৌরঙ্গীকে ব্যাঘ্রনিবাসজঙ্গল ও গড়ের মাঠে হলপ্রবাহদৃষ্টিকরিয়াছেন, যে সময় দস্যুভয়ে সাহেবদিগের ভৃত্যগণ শুভ্রবস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া মলিন বেশে ঐ মাঠ দিয়া গমনাগমন করিত এবং রাত্রিযোগে সাহেবরা প্রাণভয়ে মুহুর্মুহু বন্দুক ধ্বনি করিতেন। “অন্যে পরে কাকথা” যে হেদুয়া পুষ্করিণীর পূর্ব্ব পশ্চিম তীর এক্ষণে বিদ্যাচর্চার গণ্যস্থান হইয়াছে দিবসের মধ্যভাগে সেইসরোবরকে লোকে ভয়াবহ জ্ঞানকরিত এবংসন্ধ্যার পর কাহার সাধ্য সেই মুখে গমন করে। একশত বৎসর হইল—কলিকাতা নগরী ভয়াবহ ব্যাঘ্র নাদির সজল জঙ্গলময় বসতিস্থলী ছিল কিন্তু এক্ষণে সেই কলিকাতায় নিয়ত ৫/৬ লক্ষ লোক বাস করিতেছে।

কলিকাতা কি ছিল এবং কি হইয়াছে তদ্বিষয়ে অধিক বক্তব্য পরপৃষ্ঠার তালিকায় প্রকটিত পুরাতন দুর্গের চিত্র দেখিলে এখনকার লোরোবিস্ময়াপন্ন হইবেন সন্দেহ নাই, যেহেতুএক্ষণেউক্ত দুর্গের চিহ্নমাত্র দ্রষ্টব্য নহে—পরন্তু তাহা অন্য কোন নগরের প্রতিরূপ বোধ হইতে থাকিবে। আচার, ব্যবহার, রীতি-নীতি, পরিচ্ছদ,ভাষা প্রভৃতি বিষয়ে অত্রত্য লোকের এই স্বল্পকাল মধ্যে এরূপ পরিবর্তন হইয়া আসিয়াছে যে যদি বৈষ্ণবচরণ শেঠ প্রভৃতি বিগত শতাব্দীর প্রসিদ্ধ লোকেরা দৈববশে পুনর্জীবন প্রাপ্ত হইয়া কলিকাতায় পুনরুদিত হন তবে এখনকার কৃতবিদ্য নব্য সম্প্রদায়কে দেখিয়া স্বদেশীয় জ্ঞান করিতে সাহসী হইবেন না।

অতএব এই সময়ে আসিয়াখণ্ডের* সর্ব্বপ্রধান নগরী এই কলিকাতায় শতবৎসরের পুরাবৃত্ত সংগ্রহ অতি প্রয়োজনীয় বোধ হইতেছে। পরে তদ্বিষয়ে চেষ্টা করাও ব্যর্থ হইবে। এখনও অনেক স্থানীয় লোকজীবিত আছেন এবং দুই-একখানি প্রাচীন পুস্তক প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু কিছুকাল পরে এতদুভয় দুর্লভ হইয়া উঠিবে। এইসব বিবেচনা করিয়া“কলিকাতাকল্পলতা”নামে অভিনব গ্রন্থের রচনাকার্য্যেহস্তক্ষেপ করা গেল।

*আসিয়াখণ্ড - এশিয়া মহাদেশ

সূচীপত্র
প্রস্তাবনা
প্রথম অধ্যায়
কলিকাতার প্রাচীনত্ব – বাঙ্গালাদেশের আদ্য রাজধানী নিচয় – প্রাচীন গ্রন্থে কলিকাতার নামোল্লেখ – কবিকঙ্কণ – ঘটকের কারিকা – কলিকাতা-নামের ব্যুৎপত্তি – শেঠ-বসাকদিগের আদ্যস্থান, – ঢাকা, হরিদপুর, পাতরিয়াঘাটায় প্রবাস – শেঠ, বসাকদিগের নাম – প্রথম ব্রাহ্মণ, বৈদ্য ও কায়স্থ পরিবার।
দ্বিতীয় অধ্যায়
ইংরাজদিগের বাঙ্গালাদেশে বাণিজ্য করণার্থ অনুমতি প্রাপ্তি – বালেশ্বর ও হুগলীতে বাণিজ্যালয় স্থাপন – ভাগীরথীতে ইংরাজদিগের জাহাজ প্রবেশ – নিরন্তর বাণিজ্য করণের শক্তিলাভ – সাগরসঙ্গমের নিকট দুর্গনির্মাণের অভিসন্ধি – নবাবের সহিত ইংরাজদিগের মতান্তর, পোতাধ্যক্ষ নিকলসনের দশখানা জাহাজ সমাভিব্যাহারে ভাগীরথী প্রবেশ – হুগলী নগর ধ্বংস – ইংরাজদিগের বাণিজ্যালয় সমূহের প্রতি আক্রমণ – সুতালুটিতে চার্ণক সাহেবদের প্রস্থান ও তথা হইইতে হিজলী উপদ্বীপে আশ্রয় – ইব্রাহিম খাঁ নবাব কর্তৃক ইংরাজদিগকে পুনরাহ্বান – কলিকাতা নগর স্থাপন – দোভাষী শব্দের ভ্রমক্রমে জনৈক ধোবার সৌভাগ্য।
তৃতীয় অধ্যায়
দুর্গ নির্মাণ – কলিকাতার সৌভাগ্যবৃদ্ধি – মুর্শিদকুলি খাঁর দৌরাত্ম্য – কলিকাতার পার্শ্ববর্তী ৩৮ খানা গ্রাম পাইবার কল্পনা – ইংরাজদিগের প্রতি সুজাউদ্দিনের আচরণ – কলিকাতা নগরীয় সাহেবদিগের ভোগাতিশায্য – বড় ঝটিকা এবং ভূমিকম্প – মহারাষ্ট্রীয়দিগের উৎপাত – মহারাট্টাডিচ নামক পরিখা খনন – সিরাজদ্দৌল্লার সহিত ইংরাজদিগের প্রথম বিবাদ – গভর্ণর ড্রেক সাহেব – কলিকাতার বিরুদ্ধে সিরাজদ্দৌলার আগমন।
চতুর্থ অধ্যায়
কলিকাতা নগর আক্রমণ – ব্ল্যাকহোল নামক কারাগার – হলওয়েল সাহেবের নিষ্কৃতি – কর্ণেল ক্লাইভ ও এডমিরাল ওয়াটসন কর্তৃক কলিকাতার পুনরুদ্ধার – সিরাজদ্দৌলার পুনর্বার ইংরাজের বিরুদ্ধে আগমন ও পরাজয়।
পঞ্চম অধ্যায়
সন্ধিপত্রের মর্ম – নূতন দুর্গারম্ভ – গোবিন্দপুর – টাকশাল সংস্থাপন – ক্লাইব কর্তৃক তিন সুবার দেওয়ানি প্রাপ্তি – ছিয়াত্তরের মন্বন্তর – মহম্মদ রেজা খাঁ ও সেতাব রায়ের প্রতি বিচার – সুপ্রীমকোর্ট স্থাপন – নন্দকুমারের ফাঁসী।
ষষ্ঠ অধ্যায়
হালহেড কৃত-বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ – সুপ্রীম কোর্টের সহিত গভর্ণমেন্টের বিবাদ – পার্লামেন্ট কর্তৃক সুপ্রীম কোর্টের শক্তির খর্বতা – কলিকাতার প্রথম সংবাদপত্র – স্যার উইলিয়াম জোন্স কর্তৃক আসিয়াটিক সোসাইটি সংস্থাপন – দশশালা বন্দ্যোবস্ত – গভর্মেণ্ট হাউস নির্মাণ – ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ সংস্থাপন – সংস্কৃত কলেজ।
সপ্তম অধ্যায়
কলিকাতার আদি বড় মানুষ – শেঠ পরিবার, বৈষ্ণবচরণ শেঠ – ঘোষাল পরিবার, দেওয়ান গোকুল ঘোষাল, জয়নারায়ণ ঘোষাল – বাগবাজারের মিত্র পরিবার, গোবিন্দরাম মিত্র – সুবর্ণ বণিক ধর পরিবার, নকুল ধর, রাজা সুখময় – শোভাবাজারের রাজ পরিবার, নবকৃষ্ণ, গোপীমোহন দেব – হাটখোলার দত্ত পরিবার – মল্লিক পরিবার, নিমাই মল্লিক – ঠাকুর পরিবার, দর্পনারায়ণ ঠাকুর, গোপীমোহন ঠাকুর – বনমালী সরদার – রাজা কাশীনাথ।
সপ্তম অধ্যায়ের বর্ধিতাংশ – শোভাবাজারীয় রাজ পরিবার
অষ্টম অধ্যায়
কলিকাতার পুরাণ পল্লীনির্ণয় – ডিহি কলিকাতা – গোবিন্দপুর – সুতালুটি – বাজার কলিকাতাঃ- বাগবাজার, শোভাবাজার, চার্লসবাজার, ধোপাপাড়া বাজার, শ্যামবাজার, নূতনবাজার, হাটখোলা, বড়তলা বাজার, হোঁগলকুড়িয়া, বড়বাজার, মেছোবাজার, ফৌজদারী বালাখানা, আর্মানীবাজার, মুর্গীহাটা, সন্তোষবাজার, তেরেটি বাজার, লালবাজার, বৈঠকখানা, বাদা, শিয়ালদহ, বেনিয়াপুকুর, পাগলাডাঙ্গা, টেংরা, দোলণ্ডা, কালীঘাট, আলিপুর, বেলডিড়িয়া, টালির নালা – বিলাতী চক্র হাবড়া – শালিখা।