চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/২৫

২৫

[মে ১৯০৪]

ওঁ

মজঃফরপুর

প্রীতিসম্ভাষণমেতৎ

 মধ্যে কাশী ভ্রমণ করিতে গিয়া ভাল করি নাই— শরীরটা আবার কিছু ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছে। তবু কলম ছাড়ি নাই একটু আধটু লেখা চলিতেছে— আষাঢ় মাসের নৌকাডুবি এবং সাময়িক প্রসঙ্গ পূর্ব্বেই পাঠাইয়াছি। আজ প্রার্থনা বলিয়া একটা প্রবন্ধ পাঠানো গেল। ইহাতে আষাঢ় মাসের খোরাক চলিবে।

 আপনিও আষাঢ়ের জন্য প্রস্তুত হইতেছেন ত? যতী লিখিয়াছে আপনাকে Review of Reviews দিয়াছে। Academy Spectator প্রভৃতি সাপ্তাহিক কাগজে অনেক আলোচ্য বিষয় থাকে। হেমবাবু (হেম মল্লিক) Academy প্রভৃতি অনেকগুলি কাগজ লইয়া থাকেন [য]দি যথাসময়ে ফেরৎ দিবার আশা [দি]য়া এই কাগজগুলি আপনি দেখিয়া লইবার বন্দোবস্ত করেন [ত] কেমন হয়?

 সমিতির অধিবেশনটা নিয়মমত চালাইবেন।

 নগেনবাবুর সঙ্গে বাঁকিপুর ষ্টেশনে চকিতের মত আমার দেখা হইয়াছিল। যদি তিনি হিসাব দেখিতে ইচ্ছা করেন তবে সেইরূপ ব্যবস্থা করিতে হইবে— আমি আপনার পত্র পাইলে শৈলেশকে হিসাব দেখাইতে লিখিব।

 ত্রিপুরা হইতে নিয়মমত টাকা আসা দেখিতেছি সন্দেহস্থল। একবার মহিম ঠাকুরকে আপনি দুঃখ নিবেদন করিবেন। যদি দুই চারিদিনের মধ্যে আসিয়া থাকে জোড়াসাঁকোয় খবর লইয়া জানিবেন। আমাদের কর্মচারী যদুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নামে আসিবার কথা। গগনদের বলিলে তাঁহারা যদুকে ডাকাইয়া খবর লইতে পারিবেন।

 অরুণকে মোহিতবাবুর কাছে রাখিয়া দিন না— তাহার পড়াশুনাও হইবে— শারীরিক অযত্নও হইবে না। ইতি ২৯শে বৈঃ ১৩১১।

আপনার
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর