চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/৪৪

৪৪

[ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬]

ওঁ

শান্তিনিকেতন

কল্যাণীয়েষু

 নন্দলাল এখনো কলকাতায়। ফিরে এলে বৃহবঙ্গে দৃষ্টিক্ষেপ নিশ্চয় করব।

 শরীর যে ক্ষণভঙ্গুর আমার দেহ প্রতিদিন তার নিঃসংশয় প্রমাণ নিয়ে উপস্থিত হচ্চে। এতদিন মন তাকে বহন করে জীবনযাত্রায় সারথ্য করছিল, কিন্তু বাহন এখন পিছনের দিকে ঘন ঘন লাথি ছুঁড়তে শুরু করেছে— পিঁজরাপোলের অভিমুখে তাঁর সমস্ত ঝোঁক, বোঝা যাচ্চে লাগামটা ফেলে দিয়ে স্বেচ্ছায় যদি না নমে পড়ি তাহোলে ঝাঁকানি দিয়ে নামিয়ে ফেলবে হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে। এ অবস্থায় আমার কাছে যদি কিছু প্রত্যাশা করো তা হোলে তা পুরণের চেষ্টায় আমার নিঃস্বতা প্রকাশ পাবে। পূর্বকালের তহবিলের মাপে এখনকার দাবী অসঙ্গত হবে। ইতি ২৭/২/৩৬

তোমাদের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর