পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為のミ অধ্যাপক মুসলমানদের সময়ে আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি ছিল আমাদের হাতে, মুসলমানেরা আমাদের শিক্ষাপদ্ধতিতে হাত দেয় নি। ইংরেজের ইংরেজী শিক্ষার মধ্য দিয়ে নানা উপায়ে ইংরেজ-জাতির নানা গৌরব এবং সেই গৌরব কতখানি ধন ও বলের উপর প্রতিষ্ঠিত তা এমন করে? আমাদের কাণের মধ্যে ঝঙ্কত করেছে, আমাদের চোখের সামনে এমন উজ্জল করে ধরেছে যে আমরা দিগভ্রান্ত ও মূঢ় হয়ে গিযেছি । আর প্রত্যক্ষত তারা দেখাচ্ছে তাদের ধন ও বলের মহিমা । তাদের বিজ্ঞানকে তারা করেছে ধনের বাহন, তাই বিজ্ঞানের চেয়ে বল হয়ে উঠেছে আমাদের কাম্য, অথচ সে বল আমাদের পাওয়ার উপায় নেই । ধনের লোভ আমাদের যত বেড়েছে, আমাদের জীবনযাত্রার মানদণ্ড আমরা যত উৰ্দ্ধে উত্তোলন করেছি, ততই হয়েছি আমরা ক্ষীণবিত্ত । অঙ্কের ভাষায় বলতে গেলে, লোভ বেড়েছে geometrical progressionsq &fā žítö Kêêêê štá inverse progressiona ! এর চেয়ে বড় শোকোদ্দীপক ছবি আর কেউ কল্পনা করতে পারে ? এই দিক দিয়ে আসছে আমাদের মৃত্যু ঘনিয়ে, কেবলমাত্র পররাষ্ট্রের পরাধীনতা নয় ।” - সন্ধ্য আসন্ন হয়ে এসেছিল । পশ্চিমের জানাল দিয়ে সোনালি মেঘের ছায়া ক্রমশ: আসছিল ধূসর হযে, যেমন ধূসর হয়ে আসে জীবনের প্রান্তভাগে মরণের ছায়া । পাশ্বস্থ আম্রকুক্ষের পাখীরা আসন্ন দৃষ্টহীনতার নিগৃঢ় ব্যথা ব্যঞ্জিত করে তুলছিল তাদের যৌথ কলঝঙ্কারে । বৈকালী মেঘ সমস্ত আকাশকে আচ্ছাদিত করে’ এনেছিল । দিনাস্তের রজনীগন্ধা সমস্ত দিনের সাধনার ফলে বিকীরণ করছিল তার স্বভ্রাণের মৃদুমন্দ আবেশ, তারই প্রতিধ্বনি আসছিল কমনীয় হেনাকুঞ্জ থেকে। রাস্তার বাতি উঠেছিল জলে । মেঘের মধ্য দিয়ে