এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२8 অবতার হচ্চে না ত ? যাই হোক, আমার এখন যে অবস্থা তার চেয়ে আর কি খারাপ হতে পারে? অক্টেভ আমার শরীর অধিকার করে আছে ; আর সে আজ সকাল বেলায় ঠিক্‌ কথাই ত বলেছিল যে, আমার বর্তমান শরীরে থেকে যদি আমি আমার কৌন্ট নামের দাবি করি, তাহলে লোকে আমাকে পাগল ঠাওরাবে। যদি আমাকে একেবারে সরিয়ে ফেলবার তার ইচ্ছা থাকৃত, তা হলে আমার বুকে তার অসি বিধিয়ে দিলেই ত ত’ত । আমি নিরস্ত্র ছিলাম, আমার মরণ বাচন তারই হাতে ছিল। কোন রকম অন্যায় আচরণও হয় নি! দ্বন্দুযুদ্ধের পদ্ধতি ঠিক রক্ষিত হয়েছিল, সবই দস্তুর মত হয়েছিল । স্বাক্ ! এখন প্রাস্কোভির কথাই ভাবা যাক, ছেলেমানুষের মত মিছে কেন ভয় করচি ? তার ভালবাসা ফিরে পাবার এই একমাত্র উপায় ; এই উপায়টা একবার পরেখ করে দেখতে হবে।" ডাক্তার শেরবোনো এখন সেই লোইণর হাতলটা দুইজনকে ধরিয়ে বলিলেন, কৌটি ও অক্টেভ দুজনেই হাতলটা ধরিল । চৌম্বক তরল-পদার্থে ঐ হাতলট। পূর্ণমাত্রায় ভরা ছিল,---ধরিবামাত্র দুজনেই অচেতন হইয়া পড়িল—দেখিলে মনে হয় যেন উহাদের মৃত্যু হইয়ছে । ডাক্তার হাতের ঝাড়া” দিতে লাগিলেন, নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠান করিলেন, প্রথম বারের মত মন্ত্র উচ্চারণ করিলেন ; উচ্চারণ করিয়াই তার সেই পিটুপিটে জলজলে চোখের দৃষ্টি দুইজনের উপর নিক্ষেপ করিলেন ; তারপর ডাক্তার, কেন্ট ওলাফের আত্মাকে আবার তার নিজ আবাস দেহে লইয়া গেলেন ; এই সময় ওলাফ, সম্মোহনকারীর অঙ্গভঙ্গিগুলা খুব আগ্রহের সহিত মাড়চোখে দেখিতেছিলেন । এদিকে, অক্টেভের আত্মা আস্তে আস্তে ওলাফের শরীর হইতে দুরে চলিয়া গেল ; এবং নিজের শরীরে ফিরিয়া না গিয়া, মুক্তির আনন্দে উদ্ধে উঠিতে লাগিল ; মনে হইল যেন তার আত্মা শরীর-পঞ্জরে আর