পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওদিকে রামলিং এসে তার হাতে দিয়েছে হাতকড়ি।’ ‘কেন, তাতির হাতে দড়ি পড়ল কেন ? তার ছেলে কুবুদ্ধি ব্যাঙ মেরেছে বলে।’ কুবুদ্ধির কি হল ? কুবুদ্ধির পায়ে বেড়ি পড়ল। আর কি হবে ? পরে সেই রামসিং দোবের কিছু হল না ? ‘হল বৈকি। ব্যাঙের দিষ্টিতে তার মুখ পুড়ে গেল, মুখে আর কিছু রোচে না— “নিম লাগে মিষ্টি ! সন্দেশ লাগে তেতো ! মুড়কি বলে ঝাল ! ‘সে কেবল ঘুষ খেয়ে-খেয়ে ছিষ্টি ব্যাঙের গালাগালি খেয়ে-খেয়ে বেড়াতে লাগল।’ , আর সেই দারোগা কি করলে ? 'সে আর করবে কি ? ব্যাঙেরা তার গায়ে যত ধুলো দিলে সে তা ফুয়ে উড়িয়ে মনের আনন্দে গায়ে ফু দিয়ে বেড়াতে লাগল ? বলেই যেমন প্যাচা, ফুঃ করে ফু দিয়েছে আর অমনি সেই ফু এসে আমার গায়ে লেগেছে। যেমন গায়ে লাগা আর আমি মানুষ হয়ে যাওয়া, যেমন মানুষ হওয়া আর ধুপুস করে ভাদর মাসের তালের মতো মাটিতে পড়া আর ভুড়োশেয়ালি খপ করে আমাকে তুলে দে-ছুট! এক ছুটে শেয়ালটা আমাকে তালতলাতে এনে হাজির করেছে। সেখানে একজোড়া ছেড়া তালতলার চটি পড়েছিল, সেইটে মুখে করে এনে শেয়াল আমাকে বলছে, "খাবে ? আমি বলছি, ‘দূর! আমি কেন জুতো খেতে গেলুম। फूहे था !' २१w