পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাখি থেকে আরম্ভ করে জলের তলাকার গুগলিট পর্যন্ত— কার মাংস যে না খাচ্ছে তা তো জানিনে। হু-হাত ডাইনে বঁায়ে মানুষ সব জন্তুকে খুন করে চলেছে। হরিণ আর বাঘ মেরে ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে তার উপরে বসে যোগযাগ না করলে তাদের ধর্মকর্মই হয় না, জলের কুমির ডাঙার বাঘ মেরে এদের নখের ইষ্টি-কবচ ধারণ করে আর আমাদের চর্বি মালিশ করে তারা নিজেদেব গায়ের বাত সারাতে চলে। চিড়িয়াখানায় আমাদের বন্ধ রেখে তারা মজা দেখে, আর জ্যান্ত অবস্থায় খাচায় বন্ধ থেকে যখন আমরা আধপেট খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে মরি, তখন আমাদের ছালখানার মধ্যে খড় পুরে জাদুঘরে কাচের সিন্দুকে তারা নানান ভঙ্গীতে সঙের মতো আমাদের সাজিয়ে রাখে, এমনি বজাত মানুষ গুলে। ! দাও তাদের ঘাড় মটকে. খাও তাদের মাথা গুলো কড়মড়িয়ে চিবিয়ে ৪ বাঘের বক্ততা শুনে কচি পাঠাগুলোর চোখ দিয়ে দরদর করে জল পড়তে লাগল দেখে বাঘের নিজের জিভেও জল এল, বাঘের নখগুলো এতক্ষণ থাবার মধ্যে গুটিগুটি হয়ে বসে ছিল ; পাঠার ভক্তি দেখে ধারালে। সব নখ যেন সেই ছাগলছ’নাদেব আশীৰ্বাদ করার জম্বো বেরিয়ে এল ; বাঘ ভাবে গদগদ হয়ে ছাগলটির দিকে হাত বাড়িয়ে বলে চললেন— আহা বাছা কাদবে বই-কি, মানুষ নিজের ছেলেমেয়ের বিয়েতে তোমার মা-বাপ দুজনকেই কালীঘাটে হাড়িকাটে বলি দিয়ে নিজের জ্ঞাতি-ভোজন করিয়ে যথেষ্ট আমোদ পেয়েছে, ন্তাজ মুড়ো ছাল চামড়া এমন-কি ক্ষুর কখানাও তাবা ফেলতে দেয়নি, এমন চেটেপুটে তারা পাঠার ঝোল খেয়ে গেছে যে আমি যে বাঘআমিও তেমনি করতে লজ্জা পাই— কী লজ্জা, কী লজ্জা ! এই সসাগর" পৃথিবী তো এককালে আমাদেরই ছিল – তখন তে কোনো বালাই ছিল না— খাও দাও স্বখে ঘরকন্ন কর, মানুষ যেমনি এল আমনি সঙ্গে সঙ্গে এল তাঙ্গ বন্দুক, আর এল হঠাৎ মৃত্যু— হঠাৎ অপঘাত মৃত্যু, অপমৃত্যু, দুঃখ-শোক, ভয় ভাবনা আর যন্ত্রণ বনবাসীদের জন্যে ! বন্ধুগণ, একতার ধ্বজ তোলে, ছোটো বড়ো সব ন্যাজ উঠুক \లిసి ది