পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনছিলেন আর নোটবইয়ে টুকছিলেন– আঙুরের লতার মাচায় ভর দিয়ে ত্রিভঙ্গ হয়ে দাড়িয়ে শেয়াল আরম্ভ করলেন– ‘পূর্ব-পূর্ব বক্তারা যা বলে প্রস্তাব করে গেলেন, তারই সম্বন্ধে দু-চারটে কথা বলে আমি ক্ষান্ত হব, কিন্তু সেই-সব প্রস্তাব নিয়ে নাড়াচাড়া করার পূর্বে আমি উপস্থিত সভাগণকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এ জীবনে আমি অনেক সভায় গিয়েছি, কিন্তু এমন একপ্রাণে একমনে স্যাজ-নাড়া আমি কোথাও দেখিনি, দেখব না । মানুষের নিজের স্যাজ নেই, তাই অন্যের স্যাজ দেখলে তারা হিংসেতে জলতে থাকে, মানুষ চায় সবাই তাদের মতো নিলাজ ন্যাজ-কাট হয়ে থাকুক। কাজেই ঘোড়ার স্যাজ তার কাটে, কুকুবের হাজও ; গোরুর হাজ, ময়ূরের স্যাজ কিছুই বাদ দেয় না । শেয়ালের কথা শুনে মুডো-স্যাক্ত ডপলকত্তো চেচিয়ে উঠল— ‘ঠিক বলেছ দাদা – তোমাকেও তার ছাডে না ? শেয়াল সে কথায় কান না দিয়ে বলে চললেন– এখন কাজের কথা শ্লোক.সিংহের প্রস্তাবমতো খাণ্ডব বনে একটা স্বতন্তু পশু-রাজত্ব স্থাপন করলে মন হয় না, কিন্তু এটা আমাদের ভুললে চলবে ন যে, খাণ্ডল বন যধিষ্ঠিরের আমলে যেমন ছিল এখন তার তেমন নিরাপদ নেই ; প্রথমত জায়গাটা দুরন্ত গরম, সেই গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মধ্যিখানে, যেখানে গরমের দিনে লু চলে । ছাগল ভেড়া খরগোস এমনি সব ছোটো অথচ বড়োদের বিশেষ কাজে লাগে এমন সব জন্তুরা সেখানে টিকতেই পারবে না, এর উপর সেখানে দাবানলের ভয় আছে, প্রায়ই খাণ্ডবদাহন হয়ে থাকে। কুকুর যে শহরে থাকারই প্রস্তাব করেছেন, সেটা আরামের দিক দিয়ে দেখতে গেলে মন্দ নয়। কিন্তু কুকুর চিরদিনই মানুষ-ঘেষা, এখনো খুজলে হয়তে। তাৰ গলার কলারে একটা বেয়াড় রকমের নাম দেখা যাবে ? কুকুর কথাটা শুনে ঘাড় চুলকোতে লাগল, হরবোলা পাখি সুর করে বললে – ‘কানকাট। না হলে কি মানুষের সঙ্গে কুটুম্বিতে হয় গা ? শেয়াল বলে চলল— “বাঘের তেজস্বী ভাষা শুনে আমারও একবার মনে হয়েছিল লেগে \లిన్స8