পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদিন কনকলতার ঘরের মেঝেতে ছোটে বউ একটার পর একটা পদ্মফুলের আলপনা দেয় আর হাসে। কনকলতা দেখে দেখে বলে— হাসছ কেন ? ছোটো বউ বলে— আজ তোকে ঘরের বাইরে নেব। কনকলতা চোখ মুছে বলে— জাল যে ঘেরা রইল ভাই । ছোটো বউ ছোট্টো কাচি দেখিয়ে বলে— দেখছিস এই অস্তরে জাল কাটব। কনকলতা চেয়ে থাকে ছোটো বউ জাল কাটে— মশারি খুলে যায়, মেয়ে নামে ভূয়ে। আলপনার পদ্মে পা রেখে রেখে চলে। দুয়োর গোড়ায় এসে ভয় পায়, মশারিতে ঢুকতে যায়। ছোটাে বউ তার হাত ধরে বাইরে আনে । রাজপুত্তরের হাতে সঁপে দেয়– কনকলতাকে। পক্ষীরাজ ঘোড়া উড়ে চলে যায় মন্ত্রীর মেয়ে আর রাজার পুত্তরকে নিয়ে রাজভবনে। সেখানে দুজনে বিয়ে হয় মালা বদল কোরে । রাজার ঝি, রাজার বউ, তারা সব সুন্দর। কারো নাম পদ্মমুখী, কারো নাম চম্পাকলি । নতুন বউ দেখে বলে, ওমা এই বুঝি — তৈার নাম কি ল ? কনকলতা চোখ মুছে বলে— কনকলতা । ‘আমার মাথা’— বলে রাজার ঝি রাজার বউ তারা চলে যায়। মন্ত্রীর মেয়ে রাজপুত্তরের গলা ধরে কাদে আর বলে— ওগো আমি সত্যি কনকলতা। রাজপুত্তর হেসে বলেন– তা তো জানি, ওরা শুধুই নামে কেউ পদ্মমুখী, কেউ চম্পাকলি । আড়াল থেকে রাজার ঝি, রাজার বউ– তারা বেরিয়ে এসে বলে— আহা কনকলতাকে আমাদের মালঞ্চে পুতে দিলে হয় না – আমরা ফুল পরে বাচি । কনকলতা ভুরু কুঁচকে বলে— পুতে দেখ না, ফুল ফোটে কিনা— কনকলতায় ! রাজার ঝি, রাজার বউ কিনা — যেমন কথা তেমনি কাজ ! সবাই ধরাধরি করে পুকুরঘাটে কনকলতাকে পুতে রেখে এল দিনের বেলায়। রাজপুত্তর নাইতে এসে দেখেন পুকুর-পাড়ে সোনার লতায় থোকা-থোকা ফুল ঝুলছে। তিনি দুটি ফুল তুলে মা-বাপকে দেন, রাজার ঝি, রাজার বউদের পাঠান ; আর এক 838