পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাচায় ধরা নাচন পাখি, সে উড়তে জানে না, এ কোণ ছেড়ে ও কোণে চলে যায় নেচে নেচে– তার সে গোপন-পাখির নাগাল চেয়ে নাচন-পাখি বাধা বীণার তারে তারে পাখা বুলিয়ে সাথে— *এসে না, এসো না ।” গোপন-পাখি, সে কি আর লুকিয়ে থাকে, বুক তাৰ নাচনপাখির ডাক শুনে সুরে কাপে রী রী, তারই ঝিনিক লাগে বীণার তারে আর সেই নাচন-পাখির নাচনে । ঠিক সেই সময় সেই কোণে খুঁট ক'রে গোস-ঘরে খিল খোলে, আর এই কোণে খিট ক’রে খাজনা-ঘরের চাবি ফেরে— রাজা বার হন এক দিক থেকে, রানী বার হন আর-এক দিক দিয়ে। তখন সন্ধ্যা হব হব । সেই সময় অনিকে আমাদের আজ এক অনা পয়সায় চিরকালের মতো কিনে ফেললেন, আর আজাকে তোমাদের আনি— আর বলতে হ’ল ন সতরঞ্চ খেলা ফেলে মহারানী ধা ক’রে বললেন – এক কানা কড়িতে, এটা কি একটা গল্প না কথা, মাথা আর মুণ্ডু হচ্ছে। রানীর ঝগড়ার রকম দেখে নাতি-নাতনীরা হেসে বঁাচে না, ঠিক সেই সময় রাজার বিদূষক এসে উপস্থিত—গোলগাল নধর যেন গণেশ-ঠাকুরটি। গল্প গেল তল, বিদূষকের চেহারা দেখেই হাসির রোল উঠল। হেলতে ভুলতে বিদূষক মোটা-সোটা রাজার নাতিটিকে কোলের কাছে টেনে নিয়ে বললেন, “এ কেমন হ’ল জানেন মহারাজ, এ যেন – ‘মৌক্তিকং ন গজে গজে ।” রাজা তামাসাটা ঠিক না বুঝে বলে উঠলেন, “তোমার রহস্ত রাখো, গল্পের রসভঙ্গ কোরে না বলছি।” মহারানী ব’লে উঠলেন, “এমনি ভাঙে যা, তেমন শক্ত রকম রসকথা নাই বলতে, এতক্ষণ ধ’রে কেবল বাজে বকাই হ’ল তোমার!” রাজা একটু ক্ষুন্ন হয়েই বললেন, “বারে কারে বাধা দিলে গল্প কখনো চলে ?” 8 ఫి