পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেললে, রচয়িত কে তার ঠিকানা নেই, কিন্তু নাম হল কবিরাজ মশায়ের— রামা এলেন গায়ে বুট জুতুয়া পায়ে, ওরে কে বলিবে কালে৷ পাটনা থেকে হলুদ মেখে গা হয়েছে আলো ! খড়ের চালে আগুন যেমন, তেমনি এই গীতটা দেখতে দেখতে ন-পাড়া এবং সারা তল্লাটুটায় ছড়িয়ে পড়ল। ছেলেদের আর ঠেকিয়ে রাখা গেল না ; তারা এ ওর মুখ থেকে লুফে নিয়ে গানটার ধূলোট শুরু করে দিলে ভূ-বেল পথে ঘাটে এবং বিশেষ করে খাতাঞ্চি সাহেবের কোট বাড়ির সামনেটাতে ! একটা ভাঙা দোনলা বন্দুক নিয়ে রাম মাঝে মাঝে তাড়া করলে ছেলেদের । তার পর সে পাড়া ছাড়বার আয়োজন করলে, কিন্তু যাবার আগে কবিরাজ মশায়কে একটু শিক্ষা দেবার কুমতলব তার মাথায় এল ! ঈশ্বরগুপ্তের সংবাদপত্র প্রভাকর তখন দেশের সবাই পড়ে । একদিন সকালে কবিরাজ মশায় তামুক ধরিয়ে বাবুদের বৈঠকখানায় বসে গালগল্প করছেন এমন সময় কর্তা এসে বললেন– কবিরাজ মশায় দেখেছেন কাগজে আপনার নামে কী বেরিয়েছে ! কী কী !— বলে কবিরাজ কাগজটা টেনে নিয়ে দেখেন বড়ো বড়ো করে ছাপা— রামা খাতাঞ্চি প্রশংসাপত্র দিচ্ছেন ন-পাড়ার শুামনাথ কবিরাজকে যথা :– “ন-পাড়ার কবিরাজ মশায়ের প্রস্তুত মাসভৈল আমি পাটনা হইতে ফিরিয়া পর্যন্ত ব্যবহার করিতেছি । ইহাতে হোলদারি বুট সুন্দর পালিশ হয়, বিশেষতঃ বাত রোগীর জুতা খোড়াইতে খোড়াইতে বাকিয়া চুরিয়া গেলে এই তৈল বাকাকে সোজা করার পক্ষে বিশেষ কাজে আসে, ইহা আমি পরীক্ষা করিয়া বলিতেছি ।” 888