পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোহ প্রকাণ্ড বটগাছের মাঝে পাতায়-ঢাক ছোটোখাটো পাখির বাসাটি যেমন, গগনস্পশী বিন্ধ্যাচলের কোলে চন্দ্রাবতীর শ্বেতপাথরের রাজপ্রাসাদও তেমনি সুন্দর, তেমনি মনোরম ছিল । ম্লেচ্ছদের সঙ্গে যুদ্ধের কিছুদিন পূর্বে শিলাদিত্য একদিন জনকতক রাজপুত-বীরকে সঙ্গে দিয়ে চন্দ্রাব তীর রাজকন্য। গর্ভদ তী বানী পুষ্পবতীকে সেই চন্দ্রাবতীর রাজ প্রাসাদে বাপমায়েব কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন । তার মনে বড়ে ইচ্ছা ছিল যে, যুদ্ধের পর শীতকালট। বিন্ধ্যাচলের শিখরে নির্জনে সেই শ্বেতপাথরের প্রাসাদে রানী পুষ্পবর্তীকে নিয়ে আর্যমে কাটাবেন তারপর রানীব ছেলে হলে তৃজনে একসঙ্গে রাজপুত্রকে কোলে নিয়ে বল্লভীপুরে ফিরবেন। কিন্তু হায়, বিধা তা সে-সাধে বাদ সাধলেন, বিধর্মী শত্রুর বিষাক্ত একটা তীর তার প্রাণের সঙ্গে বুকের সমস্ত আশ৷ বিদীর্ণ কবে বাহিব হয়ে গেল— শিলাদিত্য যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারালেন । র্তাব আদরেব মহিষী পুষ্পবতী চন্দ্রাবতীর সুন্দর প্রাসাদে একাকিনী পড়ে রইলেন । বিন্ধ্যাচলের গায়ে রাজ-অন্তঃপুপে যেদিকে পুষ্পবতীর ঘর ছিল, ঠিক তার সম্মুখে, পাহাড় থেকে পঞ্চাশ গজ নিচে, বল্প পুরে যাবার পাকা রাস্ত । পুষ্পপ তী সেইবাব চন্দ্রাবতীতে এসে, যত্ন করে নিজের ঘরখানির ঠিক সম্মুখে দেওয়ালেব মতো সমান সেই পাহাড়ের গায়ে পচিশ গজ উপরে যেন শূন্যের মাঝখানে ছোটো শ্বেতপাথরের বারাণ্ড বসিয়েছিলেন । সেইখানে বসে, রাস্তর দিকে চেয়ে, তিনি প্রতিদিন একখানি রুপোর চাদরে সোনার সুতোয়, সবুজ রেশমে, সবুজ ঘোড়ায়চড়া সূর্যের মূর্তি সোনার ছুচ দিয়ে সেলাই করতেন আর মনে-মনে ভাবতেন— মহারাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে, পাখির পালকের মতো হালকা এই পাগড়িটি মহারাজের মাথায় নিজের হাতে বেঁধে দেব ; t) یا\ *{。ミー。