পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী সর্ব্বাপেক্ষা সর্ব্বনাশ এই উড় উড় মনের জন্যই হয়েছে। আমাদের ভাবপ্রবণ প্রাণে আবেগ উচ্ছ্বাসের অস্ত নাই । খড়ের আগুনের মতো আমাদের উৎসাহ বহ্নি দপ্‌ করে যেমন জলে উঠে, নিবতেও তার দেরী হয়না তেমি। লাগপড় হয়ে লেগে না থেকে সিদ্ধি কবে কে লাভ করেছে ? আজকাল ছাত্রদিগের কাহাকে কাহাকেও যদি জিজ্ঞাসা করা যায় "ওহে তুমি ল’ পড়ছ নাকি?” অমনি যেন কৈফিয়ত দেবার জন্ত অতি ব্যগ্র হয়ে উত্তর করে থাকেন "আঙ্গে হুঁ, পড়ছি কিন্তু ওকালতি করব না ।” অথচ, কত বই কিনতে হচ্ছে কত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আমাদের কেবলি দুমন হয়ে কাজ করা । এইরূপে জীবনের শ্রেষ্ঠ অংশ আমরা মনঃস্থির করতে না পেরে ইতস্তত: ভাসমান হয় বেড়াতে থাকি এবং তার অবশ্বম্ভাবী ফল যদি বিফলতা আসে তবে কাহাকে দোষ দিব ? , : মাড়োয়ারীরা ছাতুখোর, কিন্তু"তারা জয়ী হয়। তার কারণ তারা আমাদের মতো অত বেশী বুদ্ধিমান নয়। অতশত অগ্রপশ্চাৎ \বিবেচনা করে আট ঘাট, অন্ধি-সন্ধির সন্ধান নিতে নিতেই গ্রাস তাদের মুখছাড়া হয় না । তারা মস্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পতন’ । তাদের ঝাড় দিতেও আপত্তি নেই, দরকার হলে এক আধমঃ মোট বইতেও লজ্জা নাই । একজন বাঙালী কর্ম্মচারী আমায় বলছিলেন (তিনি ইংরেজ আফিসে কাজ করেন ) তিনি সেদিন বড় লজ্জা পেয়েছেন, ঘর থেকে একটা জিনিষ সরাবার প্রয়োজন হয়েছিল । তিনি বেহারীর সন্ধান না পেয়ে ইতস্তত: কবৃছিলেন। আফিসের বড় সাহেব এসে দেখে নিজেই আস্তিন গুটিয়ে যখন লেগে গেল তখন সেই বাঙালী লজ্জা পেয়ে নিজেও লেগে যেতে বাধ্য হলেন । তাই আমি বলি, কাজে