পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ইহা দেখিয়া সমগ্র ব্যাটালিয়ান মর্ম্মাহত হয় এবং তাহাদের চোখে জল আসিয়া পড়ে। তাহারা তখন দাঁড়াইয়া পড়ে এবং প্রতিবাদে জানায় এবং বলে যে, যদি তোমরা আমাদের হত্যা করিতে চাও তবে সমগ্র ব্যাটালিয়ানটিকেই হত্যা করিতে পারো। কিন্তু আমরা আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিব না। অফিসারটি তখন ব্যাটালিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেন যে, বিনা আদেশে তাহারা কেন দাঁড়াইয়াছে এবং প্রহরীগণকে গুলী চালাইবার আদেশ দেন। প্রহরীগণ ফাঁকা আওয়াজ করে। ইহাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের অপর এক অফিসার প্রহরীগণকে জিজ্ঞাসা করেন, “এই গুর্খারা কি তোমাদের বাবা যে ফাঁকা আওয়াজ করিতেছ? ইহাদের উপর গুলী চালাও। তখন প্রহরীগণ গুর্খাদের উপর গুলী চালায়। গুর্খাদের হাতে কোন অস্ত্র বা লাঠি ছিল না। সুতরাং তাহারা বাঁচিবার কোন আশা দেখিতে পায় না। তাহারা সকলে প্রহরীদের দিকে অগ্রসর হইয়া কাঠের চপ্পল ছুঁড়িতে থাকে। প্রায় আধ ঘণ্টাকাল গুলী চলে, এবং ৮ জন গুর্খা আহত হয়।

 গুলী চালনার পর ব্যাটালিয়ানটিকে মার্চ করিয়া একটি বন্দীশিবিরে লইয়া যাওয়া হয়।

 সাক্ষী যখন বিদাদরী শিবিরে ছিল তখন তাহার ব্যাটালিয়ানের কয়েকজন লোক আজাদ-হিন্দ ফৌজের অধীনে শাস্তিমূলক মজুরী খাটিতেছিল এবং অন্যান্যেরা পরিখা খনন করিতেছিল। সাক্ষী এই শাস্তিমূলক শ্রমকার্য্যে কখনও আপত্তি করে নাই এবং যতদূর জানে, ব্যাটালিয়ানের অন্য কেহও আপত্তি তোলে নাই।

 সাক্ষীকে যখন বন্দী শিবিরে আনয়ন করা হয় তখন শিবিরের ফটকে প্রহরায় রত আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন অফিসার ও তিন-চারজন সৈন্য গুর্খাদের খানাতল্লাস করে। গুর্খাগণকে ছাদ বিহীন কাঁটা তার ঘেরা একটি স্থানে রাখা হয়। ঘেরাও জায়গাটি এত ক্ষুদ্র যে, ব্যাটালিয়ানের অধিকাংশ লোক ইহার