পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

রাসবিহারী বসু ও অন্যান্য ব্যক্তি তাঁহাদের আন্দোলনে জাপ গবর্ণমেণ্টকে সহায়তা করিতে অনুরোধ জানাইতেছিলেন?

 উঃ—সংবাদপত্রের মারফতে আমি তাহা জানিতে পারি।

 এই অবস্থায় শ্রীযুক্ত দেশাই আপত্তি করিয়া বলেন যে, সংবাদপত্রের মারফতে কোন কিছু জানাকে সাক্ষ্য বলিয়া গণ্য করা যায় না। আদালত তাহার আপত্তি গ্রাহ্য করেন।

 অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন যে, ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত সম্মেলন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

 প্রঃ—আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সম্পর্কে জাপ গবর্ণমেণ্ট প্রকৃত প্রস্তাবে কি ব্যবস্থা করে। সে সম্পর্কে আপনার কোন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞত আছে কি?

 উঃ—না।

মিঃ মাৎসুমতোর সাক্ষ্য

 জাপ পররাষ্ট্র দপ্তরের মিঃ সুনিচি মাৎসুমতো অতঃপর সাক্ষ্য দান প্রসঙ্গে বলেন যে ১৯৪২ সালের নবেম্বর হইতে ১৯৪৪ সালের অক্টোবর পর্য্যন্ত এবং পুনরায় ১৯৪৫ সালের মে হইতে যুদ্ধান্ত পর্য্যন্ত তিনি জাপানের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন। উক্ত পদে নিযুক্ত হইবার পূর্বে তিনি জাপ সন্ধি-সম্পাদন সংক্রান্ত দপ্তরের কর্তা ছিলেন। অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গবর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠার বিষয় তিনি অবগত ছিলেন। উক্ত গবর্ণমেণ্টের স্বীকৃতিমূলক মূল দলিলটি তিনি টোকিওর পররাষ্ট্র দপ্তরে দেখিয়াছেন। মিঃ মাৎসুমতো বলেন যে, ক্রোশিয়া, মাঞ্চুকুয়ো, জার্মাণী, ইতালী, চীন, থাইল্যাণ্ড, ফিলিপাইন ও ব্রহ্ম আজাদ গভর্ণমেণ্টকে যে স্বীকার করিয়া নেন, তাহা তিনি জানেন।

 জাপান কর্তৃক আন্দামান ও নিকোবরের শাসনভার আজাদ গভর্ণমেণ্টের