পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সরকার পক্ষের সাক্ষী মহম্মদ নওয়াজ খান তাহার সাক্ষ্যে অভিযোগ করিয়াছে, শুষ্ক গোবর কুড়াইয়া তাহাতে সোডা মিশ্রিত করিয়া সার তৈয়ারী করিবার জন্য তাহাকে নিযুক্ত করা হইয়াছিল। শ্রীযুত দেশাই বলেন, এই প্রকার নির্য্যাতনের অভিযোগ সত্যিই হাস্যকর সুতরাং এই সমস্ত বাজে সাক্ষ্য বাতিল করিয়া দিবার জন্য শ্রীযুত দেশাই আদালতের নিকট আবেদন জানান।

 অতঃপর শ্রীযুত দেশাই বলেন যে, সরকারপক্ষ হত্যা এবং হত্যার অভিযোগ-প্রমাণ করিতে অসমর্থ হইয়াছে। এই সমস্ত অভিযোগকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। চারজন ব্যক্তিকে গুলী করিয়া হত্যার অভিযোগ এবং মহম্মদ হোসেনকে গুলী করিয়া হত্যা। চার ব্যক্তিকে গুলী করিয়া দণ্ডাদেশ সম্পর্কে অপরাধ ও অভিযোগের এক তালিকা আছে। কিন্তু মহম্মদ হোসেন সম্পর্কে তেমন কিছু নাই। কিন্তু এই সব দণ্ডাদেশ কার্য্যে পরিণত হইয়াছে কিনা এই সম্বন্ধে কোন প্রকৃত দলিল নাই। এমন কি উভয় ব্যাপারের হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে কোন সংবাদও পাওয়া যায় না। মহম্মদ হোসেনের হত্যার চেষ্টা সম্পর্কে সরকারী পক্ষের সাক্ষী বলিয়াছে যে, সে ক্যাপ্টেন শা-নওয়াজকে অপরাধপত্রের উপরে কিছু লিখিতে দেখিয়াছিল কিন্তু জেরা করিবার সময়ে সে স্বীকার করে যে অপরাধ বলিয়া কোন শব্দই সে জানে না। তবে তেমন কিছু একটি লিখিত বিষয় সে দেখিয়াছিল। সিপাহী আগিরী রাম তাহার সাক্ষ্যে বলিয়াছে যে, জন সহকর্ম্মীর সহিত মহম্মদ হোসেনকে গুলী করিবার পূর্ব্বে সে কোন দিন কোন প্রকার অস্ত্র ব্যবহার করে নাই। উক্ত তিন জনের গুলীই মহম্মদ হোসেনের বুকে বিদ্ধ হইয়াছিল। কিন্তু ইহা কি সত্যই আশ্চর্য্য নয় যে, একটি অশিক্ষিত বন্দুকধারী প্রথমেই লক্ষ্য বিদ্ধ করিতে পারিয়াছিল। আমার মনে হয় আদালতই এই সাক্ষীর সত্যতা বিচার করিবেন। আমি শুধু এই বলিব যে, এই সাক্ষীটির বিশেষ মনোভাব ব্যতীত ইহার সমস্ত সাক্ষ্যই একটি মুর্খামী।

 শ্রীযুক্ত দেশাই অতঃপর বলেন— ল্যান্সনায়ক সর্দ্দার মহম্মদ তাহার