পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

আইনের দিক হইতে বিশ্লেষণ করিবার কোন অধিকার বৃটীশ তথা বৃটিশ ভারতীয় আদালতের নাই।

 আন্তর্জ্জাতিক আইনবিদগণের উত্থিত অভিমত হইতে ইহা দেখা যায় কোন কোন রাষ্ট্র এবং তাহার বিদ্রোহী প্রজাদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ গোলযোগ সম্পর্কিত কারণ বিশেষ করিয়া দেখিতে হইবে। বিশ্বের সমগ্র জাতি কর্ত্তৃক এই সামরিক আইন স্বীকৃত হইয়াছে যে, যুদ্ধকালে যে কোন স্বাধীন রাজ্য বা সম্প্রদায়ের নিজ স্বার্থের জন্য যুদ্ধ করিবার অধিকার আছে। সংশ্লিষ্ট যুদ্ধরত দেশসকল নিজ সুবিধা ও স্বার্থের জন্য সাধারণ ভাবে সেই নীতির সুযোগ লইতে পারে।

 “যুধ্যমান অবস্থা স্বীকার সম্বন্ধে আসামী পক্ষের কৌসুলী ও অন্যান্য রাজনীতিকগণ যাহা বলিয়াছেন তাহা বৃটেনের নিরপেক্ষ অবস্থার সহিত প্রযোজ্য অর্থাৎ এমন দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ যাহার সহিত বৃটেন আদৌ জড়িত নহে, উক্ত সেই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।’

 কর্ণেল কেরিন আরও বলেন যে, “ফেডারেল গভর্ণমেণ্টের সৈন্য ও কনফেডারেট ষ্টেটসমূহের সৈন্যের মধ্যে সংঘর্ষকে একটি বিচ্ছিন্ন উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হইয়াছে। ইহা হইতে আপনারা ধরিয়া লইতে পারেন যে, অধীন রাষ্ট্রের পক্ষ হইতে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালাইবার অধিকার আন্তর্জ্জাতিক আইনে স্বীকার করা হইয়াছে এবং এই যুদ্ধকালে বিদ্রোহীগণ সাফল্য লাভ অথবা পরাজিত হউফ আন্তর্জ্জাতিক আইনের চক্ষে উক্ত সংগ্রাম একটি যুধ্যমান অবস্থায় আসিয়া পরিতে পারে ও যুদ্ধরত অবস্থায় সকল অধিকার লাভের অধিকারী রলিয়া গণ্য হইতে পারে। বর্ত্তমান আজাদ হিন্দ ফৌজ ও আজাদ হিন্দ সরকার যুধ্যমান অবস্থায় আসিয়া পৌঁছিয়াছিল কি না এবং আন্তর্জ্জাতিক আইনানুসারে যুদ্ধরত অবস্থার অধিকার পাইবার অধিকারী কিনা তাহা বিবেচনার ভার আপনাদের উপর রহিয়াছে।