পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৩১

সিপাহী রেশম সিংএর বিচার

 ২৩শে মার্চ্চ নবম সামরিক আদালতে আজাদ হিন্দ ফৌজের সিপাহী রেশম সিংএর বিচার আরম্ভ হয়। শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র নারায়ণ এবং শ্রীযুক্ত বিপিনবিহারী আসামী পক্ষের কৌঁসুলীরূপে আদালতে উপস্থিত হন।

 আসামীর বিরুদ্ধে একটি নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ আনা হয়। আসামী নিজেকে নির্দ্দোষ বলিয়া জানান। আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিবরণী পাঠ করা হইলে আসামী পক্ষের কৌঁসুলী শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্রনারায়ণ জানান যে, আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কিত ব্যাপার—৩ বৎসর পূর্ব্বে ঘটিয়াছে বলিয়া উহা বর্ত্তমানে সামরিক আদালতের বিচারাধীনে আসিতে পারেনা। কিন্তু আদালত তাঁহার এই আপত্তি অগ্রাহ্য করেন।

 সরকার পক্ষের কৌঁসুলী আসামীর বিরুদ্ধে পাঁচটি অপরাধ উপস্থিত করেন। ১৯৪২ সালের ২৪শে আগষ্ট তারিখে ক্র্যাঞ্জি শিবিরে গুলীতে আহত ১১ জন বন্দীকে বিদাদরী বন্দী শিবিরে আটক রাখা হয়। ঐদিন রাত্রে আসামী সর্দ্দার সিঙ্গাড়া সিং ও জমাদার ফতে খাঁর সহিত বন্দীদের উপর অত্যাচার করেন। আসামী গুল নওয়াজ নামক এক ব্যক্তিকেও অন্যান্য লোকের সঙ্গে প্রহার করিয়াছিলেন।

 অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের সহিত সংশ্লিষ্ট এগারজন ব্যক্তিকে ব্রহ্ম সরকার সম্প্রতি গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়াছেন। ইহার মধ্যে পাঁচজন রেঙ্গুনে দুই জন মালয়ে এবং চারজন ভারতবর্ষে আছেন। আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের উপদেষ্টা শ্রীযুত বসিরকে গ্রেপ্তার করিয়া ২০ হাজার টাকার দুইটি জামিনে মুক্তি পাইয়াছেন। ইহারা সকলেই নেতাজী তহবিলের সহিত অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত ছিলেন এবং তাঁহারা নিজে ৫লক্ষ হইতে ১কোটি টাকা উক্ত তহবিলে দান করিয়াছিলেন।