পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৬৭

 প্রশ্ন:—তাহা হইলে আমি মনে করিতে পারি যে আপনি যখন কার্য্যভার গ্রহণ করেন তখন আন্তর্জ্জাতিক আইন অনুসারে যাহাতে বাহিনীর কার্য্য চলে তাহা আপনার কাম্য ছিল।

 উত্তর:—হ্যা ভারতীয় জাতীয় বাহিনী সুসংগঠিত বাহিনী হিসাবে এবং আন্তর্জ্জাতিক আইন অনুসারে কার্য্য করিবে ইহাই অভিপ্রেত ছিল। উহার কারণেই আইন প্রণীত হয়।

আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার কাহিনী

 লেঃ নাগ বলেন, ১৯৪৩ সালের ২১শে অক্টোবর তারিখে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি হাজির ছিলেন। এই সভাতেই অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্নমেণ্ট প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষিত হয়। সভায় আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানী এবং অসামরিক ভারতীয় এবং কয়েকজন জাপানী সেনানী ছিল। থাইল্যাণ্ড, জাভা, সুমাত্রা, ইন্দোচীন, হংকং ও মালয় হইতে ভারতীয় প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিল। ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাক্ষী যখন প্রথম পর্য্যায়ে গঠিত ভারতীয় জাতীয় বাহিনীতে যোগদান করেন তখন তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘের অস্তিত্বের বিষয় অবগত ছিলেন। ভারতীর প্রতিনিধিরা ঐ সকল দেশের প্রতিনিধিত্ব করিতেছিলেন। সাক্ষী দর্শক হিসাবে ঐ সভায় শ্রীযুত সুভাষচন্দ্র বহু কর্ত্ত্তৃক নিযুক্ত মন্ত্রীদের আনুগত্যের শপথ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ গ্রহণ না করিলেও অস্থায়ী সরকার গঠনের সংবাদে আনন্দধ্বনি করেন, সভায় প্রায় পাঁচ হাজার লোক উপস্থিত ছিল।

 মিঃ ভুলাভাই দেশাই উক্ত ঘোষণা-বাণী পাঠ করিয়া বলেন যে, সাক্ষী উহা শুনিয়াছেন কি?

 সাক্ষী বলেন যে, ঠিক ভাষা কি ছিল তাহা তাঁহার মনে নাই। সুভাষ