পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

কুঁড়ে ঘরের মেঝেতে শুইয়া ঘুমাইতে হয়। জামাকাপড়, খাদ্যদ্রব্য ও ঔষধাবলী সররাহের ব্যবস্থাও সন্তোষজনক নয়। যুদ্ধ বন্দীদের জন্যই এই রকম ব্যবস্থা থাকিবে, কিন্তু তাহারা যদি আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করে, এই সকল অসুবিধা দূরীভূত হইবে। এই সময়ে কেহই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দেয় নাই।

 সাক্ষী ১৯৪৩ সালের ১৭ই নভেম্বর তারিখে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন। কারণ, শিবিরে তাঁহার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হইয়া যাইতে থাকে এবং জাপগণ তাহাদিগকে বলে যে, চাউর শিবিরের অসুস্থ বন্দীগণকে তাহাদের শিবিরে স্থানান্তরিত করা হইবে। কেবলমাত্র এই কারণেই তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন। এই একই শিবির হইতে একটি জাঠ রেজিমেণ্টের সাড়ে তিন শত সৈন্যও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করে।

পোপা পাহাড়ে ক্যাপ্টেন সেহ্‌গল

 সাক্ষী ও অন্যান্যকে পোর্ট ডিক্সন হইতে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সাক্ষী ৫নং গেরিলা রেজিমেণ্টে ছিলেন। বিদাদরীতে ঐ রেজিমেণ্টের তখন ট্রেণিং চলিতেছিল। কয়েক জায়গায় ঘুরাইবার পরে রেজিমেণ্টটিকে ১৯৪৫ সালের জানুয়ারীতে মিঙ্গালাডনে স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময় ক্যাপ্টেন পি সেহগল রেজিমেণ্টের পরিচালক ছিলেন। তাঁহার ব্যাজে লেফটেনাণ্ট কর্ণেল লেখা ছিল, সাক্ষী তখন ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর লেফটেনাণ্ট।

 সাক্ষী বলেন, ক্যাপ্টেন সেহগল তাঁহার অধীনস্থ সমস্ত অফিসারকে মিঙ্গালাডনে এক বৈঠকে আহ্বান করিয়া বলেন যে, ঐ রেজিমেণ্ট পোপা পাহাড়ে যাইতেছে। তিনি সকলকে শৃঙ্খলার অনুবর্ত্তী হইতে বলেন। রেজি-