পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরদিন হইতে তাহাতে বিশিস্ট ব্রাহমাদিগের সর্বাক্ষর লওয়া হইতে লাগিল। সকলের ভক্তিভাজন শিবচন্দ্র দেব মহাশয় সবাক্ষরকারীদের অগ্রণী হইলেন। কি জানি কি ভাবিয়া দ গামোহনবাব ও দ্রবারিবাব দিইদিন পরে উক্ত পত্রে স্বাক্ষর করিলেন। এদিকে ৯ই ফেব্রুয়ারি ১৮৭৮ দিবসের ইন্ডিয়ান মিরার পত্রিকাতে কুচবিহার বিবাহ সনিশ্চিত বলিয়া প্রকাশিত হইল। সেই দিবসই আমাদের নিযক্ত তিন ব্যক্তি ২৬জন বিশিষ্ট ব্রাহের স্বাক্ষরিত ঐ পত্র কেশববাবকে দিয়া আসিলেন। কেশববাবর প্রচারক কান্তিচন্দ্র মিত্র মহাশয় তাহা লইয়াছিলেন। আমরা কেশববাবার নিকট প্রতিবাদ-পত্র প্রেরণ করিয়াই, তাহা মন্দ্রিত করিয়া মফঃসলের সকল সমাজে প্রেরণ করিলাম, ও তাঁহাদের পরামশ জিজ্ঞাসা করিলাম চারিদিক হইতে কেশববাবর হস্তে প্রতিবাদ-পত্র আসিতে লাগিল। সরকারী কমত্যাগ। এদিকে আমার জীবনের দিবতীয় সঙ্কট উপস্থিত। প্রথম সঙ্কট গিয়াছিল, উপবীত ত্যাগের সময়। দ্বিতীয় সঙ্কট আসিল, কমা ছাড়িবার সময়। আমি সেই বিশেষ প্রতিজ্ঞার দিন হইতে গবর্ণমেণ্টের চাকুরি ছাড়িব বলিয়া কৃতসঙ্কলপ হইয়াছি। কলেজ হইতে উত্তীণ হইয়াই ব্রাহসমাজের সেবাতে আপনাকে দিব এই সঙ্কল্প ছিল, সেজন্যই কেশববাবার ভারত আশ্রমে গিয়াছিলাম। তাঁহাদের সঙ্গে মিশ খাইল না বলিয়া দঃখিত অন্তরে কিছদিন বিষয়কমা করিতে গিয়াছিলাম, BB BB DDBSBDBDu DD D S BBBDD BDB BDBD DB BDDD DDDB BBBDBD DDB হইত। অবশেষে ১৮৭৬ সালের শেষ হইতে কম ছাড়াই স্থির করিয়াছিলাম। কেবল সকল কাজের সঙ্গী ও সকল বিষয়ের পরামর্শদাতা আনন্দমোহন বস মহাশয়, “কিছদিন বিলম্পব করন, কিছদিন বিলম্পব করন” বলিয়া আমাকে টানিয়া রাখিয়াছিলেন। এখন সেই সঙ্কলপ আবার মনে জাগিয়া মনকে অস্থির করিয়া তুলিল। আবার আমি সন্দেহ দোলায় দোলায়মান হইতে লাগিলাম। একদিকে কত চিন্তা, কত বিভীষিকা মনে আসে। সাধারণ ব্রাহমসমাজ তখনো ভবিষ্যতের গভো, যাহাঁদের মািখ চাহিব, এরপ কেহ কোথাও নাই। বন্দুধ পিতা-মাতার কথা মনে হইতে লাগিল। তাঁহারা চিরদারিদ্র্যে বাস করিয়াছেন, আমি তাঁহাদের একমাত্র পত্র। তাঁহাদের দারিদ্র্যদঃখ, ঘচিবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার দাই সন্ত্রী ও শিশ পত্র-কন্যা, তাহাদিগকেই বা কে দেখিবে ? আমার সংসার ভার বহন করিব কিরাপে ? এই চিন্তায় মন আন্দোলিত হইতে লাগিল। অপরদিকে, ব্রাহামসমাজের এই নব আন্দোলন আমাকে ঘেরিয়া লইতে লাগিল, আমার ধ্যানে জ্ঞানে প্রবেশ করিতে লাগিল, আমি স্কুলের কাজেও ভালো করিয়া মন দিতে অসমর্থ হইতে লাগিলাম। কি করি কি করি, এই চিন্তাতে মন পণ্য হইয়া গেল। আমি আর ভালো করিয়া আহার করিতে পারি না, বা ভালো করিয়া নিদ্রা যাইতে পারি না। এই উদ্বেগের মধ্যে হজম শক্তি খারাপ হইয়া শরীর দাবাল হইয়া পড়িতে লাগিল। է: অবশেষে আমার চিরদিনের বিপদের বন্ধ যে ঈশ্ববরের চরণে প্রার্থনা, তাঁহার শরণাপন্ন হইলাম। জীবনের প্রধান-প্রধান সঙ্কটে ব্যাকুল প্রার্থনা আমার জন্য আলোক আনয়ন করে, আমি ঈশবরের বাণী শনি। একদিন বড় ব্যাকুল হইয়া প্রার্থনা করিতে বসিলাম। সে প্রার্থনার মম এই:-“নারী যখন প্রেমাস্পদের জন্য পিতা-মাতা গহপরিবার আত্মীয়-স্বজন সকলকে ত্যাগ করে, তখন পথের সম্পবেল বলিয়া আপনার S8G: