পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধাদের মখে শনিয়াছিলাম, তিনি দই হাজারের অধিক দিবেন না। এরপ ইচ্ছা! প্রকাশ করিয়াছেন। সতরাং আমরা দই হাজার টাকারই প্রত্যাশা করিতেছিলাম। সাত হাজার টাকা দেখিয়া আমি বিস্মিত হইয়া গেলাম। মহাষি (আমার মাখের দিকে চাহিয়া)। কেমন, সন্তুটি তো ? ? আমি। একটা বড় খারাপ হল। আর একটা বসব মনে করেছিলাম, কিন্তু ওটা পেয়ে আর বসতে ইচ্ছা করছে না। দৌড়ে গিয়ে দলে খবর দিতে ইচ্ছা করছে। মহাষি (হাসিয়া)। তবে যাও। আমি চলিয়া গেলাম। কিন্তু এমনি আনন্দের আবেগ যে, চেকখানি পকেটে না পরিয়া মহৰ্ষির ঘরেই ফেলিয়া গেলাম! পথ হইতে আবার ফিরিয়া আসিলাম। ইহা লইয়া অনেক হাসােহাসি হইল। তখন সন্ধ্যা সমাগত। আমি ছটিয়া একেবারে আনন্দমোহনবাবরে মটস লেনস্থ ভবনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। গিয়া দেখি, তাঁহারা কয়েকজনে বসিয়া সমাজের নানা বিষয়ে আলাপ করিতেছেন। আমি চেকখানি মিসটার বোসের সমক্ষে রাখিবামাত্র তিনি দেখিয়া করতালি দিয়া উঠিলেন, এবং চেয়ার হইতে উঠিয়া সজোরে আমাকে বক্ষে চাপিয়া ধরিলেন। তৎপরে বন্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে মহা আনন্দ ধবনি উঠিল। মিস্টার বোস তখনই প্রচুর মিস্টান্ন আনাইলেন। সকলে মনের আনন্দে মিঠাই খাইলাম। ইহার পরে গরচরণ মহলানবিশ ও আমার উপরে মন্দির-নিমাণের ও অর্থ সংগ্রহের ভার প্রধানত পড়িয়াছিল। আমি বেহার, উত্তর-পশ্চিম, পাঞ্জাব, মধ্য ভারতবর্ষ প্রভৃতি ভ্রমণ করিয়া আরও অনেক হাজার টাকা তুলিয়াছিলাম। SO