পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লন্ডনের বাসা। ১৯শে মে শনিবার আমরা লন্ডনে উপস্থিত হইলাম। দইদিনের মধ্যেই আমি ব্রাহামসমাজের হিতৈষিণী মিস কলেটের সহিত সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি তখন উত্তর লন্ডনে হাইবারির সন্নিকটে এক বাড়িতে একলা থাকিতেন। একটি চাকরানী তাঁহার পরিচযা করিত। তদিভন্ন বোধ হয় একটি ভ্রাতুলপত্রীও তাঁহার সঙ্গে থাকিত। মিস কলেট বলিলেন, “তুমি এই উত্তর লন্ডনে একটা থাকবার জায়গা দেখে লাও, দজনে সবােদা দেখা সাক্ষাৎ হবে।” আমি তাঁহার কথা অনসারে উত্তর লন্ডনে ক্যামডেন সন্ত্রীটের পাশেব, হিল-ড্রপ রোড নামক গলিতে এক পরিবারে থাকিবার সােথান করিয়া লইলাম । বাড়ি দেখিয়া বসিলাম বটে, কিন্তু বহদিন মনটা দেশের দিকে পড়িয়া রহিল। পথে ঘাটে কেবল শাদা মানষি, বাহির হইলে সকলেই আশচযা হইয়া তাকায়, আমার ভাষা কেহ বোঝে না, আমি থাকি কি মারি কেহ দেখে না ; এসব যেন আমার কেমন কেমন লাগিতে লাগিল। তাহার উপরে দেশ হইতে যে জবর লইয়া গিয়াছিলাম, তাহা ইংলন্ডে পৌছিয়া কয়েক মাস ছিল। জবরে আক্রান্ত হইয়া ঘরে পড়িয়া থাকি,তাম, একবার উকি মারিবার একজন লোক ছিল না। বাড়ির মেয়েরা কেহ পরিষের ঘরে প্রবেশ করিতেন না; চাকর একবার চা দিয়া যাইত, এই মাত্র। ইহার উপরে আবার প্রাণে শক্ষিকতা অনভব করিতে লাগিলাম। কোলাহলপািণ রাজনগরে ঈশবরী যেন আমাকে পরিত্যাগ করিলেন। এই অবস্থাতে কয়েকদিন বড় কণ্টে কাটাইলাম। এই সময়ে বা কিছদিন পরে, বিছানায় পড়িয়া পড়িয়া একটি সঙ্গীত বাঁধি, তাহা এই-- DBDDB DD DS SBBDB DD DSg L DLDBB BD BBBS থাক থাক লকাও কোথায়, করে আমায় দিশেহারা ? আমি অচিল-ধরা ছেলে, যেতে হয় কি একলা ফেলে ? মায়ের মািখ না দেখতে পেলে, ভয়ে ছাওয়াল হয় যে সারা । যদি বল কি গণ আছে, বাঁধা রবে আমার কাছে, (তুমি) আপনার গণে আপনি বাঁধা, ও আমার মা চমৎকারা! যে পরিবারে আমি থাকিবার সােথান পাইলাম, তাঁহারা ইংলন্ডের মধ্য শ্রেণীর প্রভৃতির পরদা প্রস্তুত করিতেন, আর ৭৫ বৎসরের বদ্ধ গহস্বামী পিতা সেগলি ভূত্যের মস্তকে দিয়া ভদ্রলোকের বাড়িতে ও দোকানে বিক্রয় করিয়া আসিতেন। সে পরিবারে বন্ধ পিতা-মাতা ও তিন কন্যা মাত্র ছিলেন। এতদিভন্ন তাঁহারা আপনাদের বাড়িতে আমার ন্যায়। আগন্তুক লোকও রাখিতেন। আমি যে সময়ে ছিলাম, সে সময়ে সে ভবনে আমি ছাড়া একজন জাপানী (তৎপরে তৎসস্থানে একজন রাশিয়ান), একজন আইরিশম্যান, ও দজন ইংরাজ যািবক থাকিতেন। বাড়িওয়ালী দাইদিনেই আমাকে চিনিয়া লইয়াছিলেন, এবং আমার কাপড়চোপড়ের প্রতি বিশেষ দন্টি রাখিতেন, এবং সর্বদা লন্ডন পরিদর্শন বিষয়ে জ্ঞাতব্য অত্যাবশ্যক সংবাদ সকল আমাকে দিতেন। তিনি আমাকে এমনি চিনিয়াছিলেন যে, আমি চা খাইতে গেলেই হাসিয়া বলিতেন, “মিসটার শাস্ত্রী! রসো, রসো, তোমার গলায় আগে বিব বেধে দিই।” আমি তাঁহাদের ভবনে নিরপেদ্রবে ও সখে বাস করিতে লাগিলাম, এবং ক্রমে ইংরাজ সমাজের ভালো মন্দ দেখিতে লাগিলাম। ROS