পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬২-৬৭ ] শাকরিটোলায় জগচ্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাটীতে বাস। ১১৩ অথচ এই সময়ে গ্রামের কতিপয় ব্রাহ্ম, ভবানীপুরের দুই চারিজন ব্রাহ্ম ও বিজয় অঘোর ভিন্ন আর কোনও ব্রাহ্মের সহিত আমার আত্মীয়তা ছিলু না ; কাহারও সঙ্গে মিশিতাম না, লজ্জাতে কাহারও সহিত আলাপ করিতে চাহিতাম না। শাকারিটােলায় জগচ্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাটীতে বাস ও তঁহাদের স্নেহ।-১৮৬৭ সালের শেষভাগে আমি ভবানীপুরের চৌধুরী মহাশয়দিগের বাটী হইতে ঐ স্থানের একটী ভদ্রপরিবারের অনুরোধে তঁহাদের সহিত কলিকাতা শাকাবিটোলাতে এক বাড়ীতে আসিয়া বাস করিতে লাগিলাম। তাহার ইতিবৃত্ত এই। জগচ্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একটা ভদ্রলোক ভবানীপুরে বাস করিতেন। মহিম নামে তাহার একটী ছেলে সংস্কৃত কলেজে পড়িত ও আমাদের সঙ্গে এক গাড়িতে কলেজে যাইত। সেই সূত্রে জগৎবাবুর সহিত আমার পরিচয় হয়। জগৎবাবুর সাধুতা সদাশয়তা সৌজন্য দেখিয়া তাহার প্রতি আমার ভক্তি শ্রদ্ধা জন্মে ; আমার প্রতিও তাহার পুত্রবৎ স্নেহ জন্মে। তিনি আমাকে তাহার বাড়ীতে লইয়া গিয়া তাহার গৃহিণীর সহিত আলাপ পরিচয় করাইয়া দেন। আমি অগ্রেই বলিয়াছি, পঠদ্দশাতে সহরে থাকিতে আমার সহাধ্যায়ীদের কাহারও কাহারও মাকে আমি মাসী বলিয়া ডাকিতাম, এবং মাসীর ন্যায় স্নেহ পাইতাম। বলিতে কি, সে সময়ে আমাকে যেরূপ কুসঙ্গের মধ্যে বাস করিতে হইত, স্মরণ করিলে এই মনে হয় যে, সেই মাসীদের স্নেহের গুণে ও তঁহাদের চরিত্রের প্রভাবেই আমি এই সকল কুসঙ্গের অনিষ্টফল হইতে বাচিয়াছিলাম। যাহা হউক, আমি জগৎবাবুর পত্নীকেও মাসী বলিয়া ডাকিতে লাগিলাম। আমাকে ইহার