পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৬ষ্ঠ পরিঃ ܘܟܕ ষে-পাপ ত্যাগ করিতেছি তাহার প্রতি ঘৃণা বাড়ে, এবং ব্যাকুলতাও পিতা মাতা ও মাতুলের ক্লেশ ॥-যাহা হউক, আমি উপবীত রাখিব না, এরূপ সংকল্প করিয়াও তাহা ত্যাগ করিতে কিছুদিন গেল। প্রথমে মাতা ঠাকুরাণা এই সংবাদ পাইবামাত্র মাতুলালয়ে আসিয়া আমাকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন, এবং কঁাদিয়া কাটিয়া উপবীতটা আমার স্কন্ধে চাপাইয়া দিয়া গেলেন। তৎপরে যাহাকে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করি, সেই উপবীত ফেলার বিরুদ্ধে বলে। আর আমি ভাবিতে গেলেও সম্মুখে বড় বিপদ দেখি। আমি পিতামাতার একমাত্র পুত্র। উন্মাদিন গত হওয়ার পর আর • তিনটী ভগিনী হইয়াছে, তাহারা সকলেই ছোট। আমি পিতা-মাতার একমাত্র অবলম্বন। লোকে যখন বলে, মা মরিবে, বাবা পাগল হইয়া যাইবেন, তখন কিছুই বিচিত্র মনে হয় না । কি করি, কি করি, এমন কঠিন সমস্ত। আমার জীবনে কখনও উপস্থিত হয় নাই। এদিকে উপবীত রাখিয়া উপাসনা করিতে যাই, উপাসনা করিতে পারিন । কে যেন হৃদয়ে থাকিয়া ছি ছি বলে । কে যেন আমাকে চায়, কে যেন মোমাকে ডাকে । এইরূপ মানসিক আন্দোলনে আমার শরীর ভাঙ্গিয়া পত্তি লাগিল ; হজমশক্তি নষ্ট হইয়া দারুণ উদরাতৃয়ে ধরিল । অবশেষে আমি অনন্যগতি হইয়া ঈশ্বর-চরণে পড়িলাম ; " আপনার বিচার ও কর্তৃত্ব ছাড়িয়া লাম ; প্রার্থনাতে বার বার বলিতে লাগিলাম, “তুমি আমাকে লইয়া যাহা হয় করা।” কি আশ্চর্য্য! কিছুদিনের মধ্যে হৃদয়ে আশ্চর্য্য পরিবর্তন t লক্ষ্য করিলাম। এত যে ভয় বিভীষিকা, কোথায় যেন পলাইয়া গেল ! / আমার মনে অভূতপূর্ব্ব বল ও উৎসাহ আসিল ! উঠতে, বসিতে শুইতে, জাগিতে, কি এক অপূৰ্ব আশ্বাসবাণী শুনিতে লাগিলাম! কে যেন বলিতে লাগিলেন, “তোমার কাজ আছে, তোমাকে চাই, তুমি