পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S་ཤི 8-༤ 1 বঙ্গমহিলা বিদ্যালয় ২১১ থান্তগির প্রভৃতি একদল, ব্রান্ধের কিরূপ মতভেদ দাড়াইয়াছিল, তাহার বিবরণ অগ্রেই দিয়াছি। দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীর দল ভারতাশ্রমের পূৰ্বোক্ত। মহিলা বিদ্যালয়ে সন্তুষ্ট না হইয়া মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে আর একটী । বঙ্গমহিলা বিদ্যালয়।--প্রথম তাহারা হিন্দু-মহিলা-বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করিলেন। বিলাত হইতে নবাগত কুমারী এক্রয়েড। ইহার তত্ত্বাবধায়িকা হইলেন। কয়েক বৎসরের মধ্যে কুমারী এক্রয়েড, বিবাহিত হওয়াতে ঐ বিদ্যালয় বঙ্গ-মহিলা-বিদ্যালয় নামে পরিবর্তিত হইয়া কিছুদিন পরে বেথুন কলেজের সহিত মিলিত হয়। ] i বালিগঞ্জে একটী বাড়ী ভাড়া করিয়া এই স্কুল খোলা হইল। গাজুলী ভায়া নিজে একজন শিক্ষক হইলেন । শিক্ষক কেন, তিনি দিন রাত্রি । বিশ্রাম না জানিয়া ঐ স্কুলের উন্নতি সাধনে দেহ মননিয়োগ করিলেন। আমি ভবানীপুরে আসিয়া দেখিলাম যে ঐ স্কুল চলিতেছে। গাঙ্গুলী ভায়া ছাড়িবার লোক ছিলেন না । আমি তেঁাহাকে অন্তরের সহিত প্রীতি ও শ্রদ্ধা করিতাম। এমন সাচ্চ সত্যানুরাগী লোক আমি অল্পই দেখিয়াছি। পূর্বেই বলিয়াছি গাঙ্গুলী-ভায়া স্ব-স্বাধীনতার নেতা ছিলেন। আমি স্ত্রীস্বাধীনতার ভাবটা তার মত না লই, স্ত্রীজাতির উন্নতি হয় ইহা অন্তরের সহিত চাহিতাম। আমি ভবানীপুরে আসিলেই গাঙ্গুলী-ভায়া আমাকে ছিনা জোকের মত ধরিয়া বসিলেন যে, আমার কন্যা হেমলতাকে বঙ্গমহিলাবিষ্ঠালয়ে দিতেই হইবে। সুতরাং হেমলতাকে বঙ্গমহিলা-বিদ্যালয়ে দিলাম। প্রচারকগণের কার্য্যের বিচার হইতে পারে কি না - , এই সময়ে আর-এক আন্দোলন উঠিল। সুতামার হরিনাভি-বাস

  • ীয়ে আমার স্বগ্রামবাসী ব্রাহ্ম -ভ্রাতা হয়নাঞ্চ বাজ মহাশয় সপরিবারে