পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৯

88 景 लिंदनाथ भीडौल आक्षब्रिड [ পরিা অতএব ইহা আমি অকুষ্ঠিত ভাবে বলিতে পারি যে, আমি যে ঈশ্বরে ও পরকালে, এবং সত্যে ও নিজ কর্ত্তব্যে আস্থা রাখতে শিখিয়াছি, তাহা অনেক পরিমাণে আমার জননীকে দেখিয়া। তিনি যে কেবল তাহার স্তনাদুগ্ধের দ্বারা আমাকে পালন করিয়াছিলেন, তাহা নহে; তাহার চরিত্রের দ্বারাও আমার চরিত্র গঠন করিয়াছিলেন। (৩).া-জ্যেষ্ঠ মাতুল দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ। ১৮৫৬ সালে আমি যখন আমার পিতার সহিত কলিকাতাতে পড়িতে আসিলাম, ও'চাপাতলায় আমার মাতামছের বাসাতে উঠিলাম, তখন মাতামহ মহাশয় সেখানে ছিলেন না। তিনি পীড়িত হইয়া দেশে ছিলেন। আমি সেই সময় হইতে বাসার অপরাপর লোকের ব্যবহার ও আমার জ্যেষ্ঠ মাতুল, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের ব্যবহারে কিছু পৃথক দেখিতাম। তিনি তামাকটি পর্যন্ত থাইতেন না ; সর্ব্বদ গম্ভীর, বাসার আমোদ প্রমোদে যোগ দিতেন না ; এবং সর্ব্বদা পাঠে মগ্ন থাকিতেন। তিনি বোধ হয় তখন তাহার গ্রীস ও রোমের ইতিহাস লিখিতেছেন। গৃহে যেমন তাঁহাকে পাঠে নিযুক্ত দেখিতাম, সংস্ক : কলেজে পড়িতে গিয়াও দেখিতাম, তিনি লাইব্রেরী-গৃহের এক কোণে পাঠে নিমগ্ন আছেন। এমনি গম্ভীর যে লোকে তাহার কাছে যাহঁতে ভয় পায়। বাস্তবিক, তিনি এমনি গম্ভীর মানুষ ছিলেন যে আমার মার মুখে শুনিয়াছি, দাদা ঘরে আছেন দেখিলে ভগিনীরা পায়ের মল টানিয়া হাঁটুর কাছে তুলিয়া আন্তে আস্তে সিঁড়িতে নামিতেন। বড় মামার এত কম কথা কহা অভ্যাস ছিল যে, আমাকে যে এত ভাল বাসিতেন। আমাকেও কখনও একটি আল, বা ভালবাসায়ু কথা বলেন নাই। তিনি বসিয়া আছেন বা বেড়াইতেছেন দেখিলে আমরা সে ধার দিয়া যাইতাম না।