পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলে মেয়েরা যাকে ভাল বাসিবে তাকেই বিবাহ করিবে। ব্রাহ্ম যখন হইয়াছি, তখন, আবার জাত কি ?” কাজেও সেইরূপই করিয়াছেন। হইলেও প্রতিদিন ঈশ্বরোপাসনা করিতে ভুলিতেন না। এমন কি, যেরোগে তার প্রাণ গেল তাহার মধ্যেও যতক্ষণ শক্তি ছিল অতি কষ্টে ষাতে উঠিয়া বসিয়া গান ও ঈশ্বরোপাসনা করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। সে সময়ে প্রায় প্রতিদিন সাধনা শ্রমের উপাসনা কালে বলিতেন, “আমাকে লইয়া আশ্রমের বারান্দাতে শোয়াও ” আমি শিলচর হইতে “প্রসন্নময়ীর অবস্থা খারাপ” এই টেলিগ্রাম পাইয়া কলিকাতায় আসিলাম। আসিয়াই ডাকিয়া বলিলাম, “দেখ, আমি আসিয়াছি।” তখন তিনি বলিলেন, আমার মাথার কাছে বসিয়া উপাসনা কর।” মৃত্যুর পূর্ব্বে কন্যাদিগকে বলিয়াছিলেন, “আমার মৃত দেহ ঘাটে লইয়া যাইবার পূর্বে একবার আশ্রমের উপাসনা-কুটীরের বারান্দাতে শোয়াস।” তদনুসারে তার শবদেহ আশ্রমের বারান্দাতে রাখিয়া প্রার্থনা করা হইয়াছিল। দেখিয়াছি। দুনীতির প্রতি তঁাহার এমনি বিরাগ ছিল যে ওরূপ জ্বলন্স ঘুণা প্রায় দেখা যায় না। এই বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, নিজের একজন নিকটস্থ আত্মীয়ের কোনও গহিত অনুষ্ঠানের কথা শুনিয়া এতই বিরক্ত হইয়াছিলেন যে, সে-ব্যক্তি দেখা করিতে আসিলে দেখা করিলেন না, এবং আর তাহার সহিত দেখা করিতে আসিতে নিষেধ করিয়া দিলেন। ব্রাহ্মদের মধ্যে কেহ ঋণ করিয়া টাকা দেয় না, মিথ্যা প্রবঞ্চনা করে, বী আরও কিছু গুরুতর পাপে লিপ্ত হইয়াছে, শুনিলে ঘূণাতে অধীর झछेम्ना উঠতেন। বলিতেন, “ব্রাহ্মসমাজে কি মানুষ নাই ? এই হতভাগাদিগকে । বলিতে কান ধরিয়া দূর করিয়া দেয় না কেন ?* অথচ যদি আবার বিশ্বাস ইহঁত লোক দুর্ব্বসূতাবশতঃ পাপে পড়িয়াছে বা তাহাৰি