পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

var সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের কার্য্যে গুরুতর শ্রম Set অনেক পরিমাণে গিয়াছে। কিন্তু সেই উৎকর্ণ ও উৎশুঙ্গ ভাব, সেই ব্যক্তিগত শক্তির নামে ত্রিাস, সেই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি অতিরিক্ত মাত্রায় ঝোঁক, সেই কার্য্যে একতা অপেক্ষা প্রতিবাদ-পরায়ণতার ভাব এখনও সম্পূর্ণ যায় নাই। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের ভাব বলিলে সভ্যগণের মধ্যে মতবিরোধ দোষ-প্রদর্শনেচ্ছা প্রভৃতি বুঝায়। ইহা অনেক পরিমাণে ঐ নাম গ্রহণের ফল বলিয়া বোধ হয়। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের কার্য্যে গুরুতর শ্রম।-অগ্রেই বলিয়াছিল। আমি যখন কর্ম্ম ছাড়ি, তখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ হয় নাই ; সবে আন্দোলন উঠিতেছে। আন্দোলনটা একটা উপলক্ষ্য হইল বটে, কিন্তু আন্দোলন না উঠিলেও আমি কর্ম্ম ছাড়িতাম ; সেজন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম। ব্রাহ্মধর্ম্ম প্রচার ও ব্রাহ্মসমাজের সেবা এই দুই কর্ম্মে আপনাকে দিব এই উদ্দেশ্যেই কর্ম্ম ছাড়িয়াছিলাম। কিন্তু কর্ম্ম ছাড়িয়াও যদি কাহারও উপরে ভারস্বরূপ না হওয়া যায় তাহাই ভাল-এটাও মনের ভাব ছিল। এই জন্য স্থির করিয়াছিলাম যে কলৈজেল্প” ছাত্রদিগের জন্য সংস্কৃত পাঠনার একটা প্রাইভেট ক্লাস খুলিব। মাসে দুই টাকা করিয়া বেতন লাইব। ৩০৪০ জন ছাত্র জুটিলেই আমার আবশ্যক মত ব্যয় চলিয়া যাইবে । আমি অবশিষ্ট সময় ব্রাহ্মসমাজের কাজে দিব। অপরাপর কাজের মধ্যে ছাত্রদের জন্য একটা সমাজ স্থাপন করিব। এইরূপ কল্পনা করিয়াই কর্ম্ম ছাড়িয়াছিলাম। কিন্তু সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হওয়ার পর এত কাজ বাড়িয়া গেল যে, ছাত্রদের জন্য রাত্রে সংস্কৃত পড়িবার বন্দোবস্ত করা আর সম্ভব হইল না ; তাহাদের জন্য একটী সমাজ স্থাপন অবশিষ্ট রহিল ; তাহ ১৮৭৯ সালে e Re e të qv. + \tfrain rifatws GWN