পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৮১

>vャレ] ব্রাহ্মসমাজেব। ইতিবৃত্ত লিখিবার সূচনা আসিতেছিলেন। বাৰ্দ্ধক্যে কবে চলিয়া যান, ইহা ভাবিয়া সেগুলি আমার হাতে অৰ্পণ করিবার জন্য আমাকে ডাকিলেন ও সেগুলি আমার হাতে অৰ্পণ করিলেন। আমি তাহাকে ধন্যবাদ করিয়া সেগুলি গ্রহণ করিলাম, এবং দেশে লইয়া আসিলাম। দুঃখের বিষয় আমি নানা ২ স্থানে বাসা নাডিয়া বেড়াইবার সময় অপরাপর ছোট ছোট স্মৃতিচিহ্নগুলি হারাষ্টয়া ফেলিলাম। অবশেষে তাহার মুন্নির্ম্মিত মুঞ্জিটী ও শালেব পাগ উঁটা বঙ্গীয় সাহিতাপবিষ্যদের হস্তে দিয়াছি, তাহারা বক্ষণ কবিতেছেন । বাজা রামমোহন রায় বঙ্গসাহিত্যের জন্মদাতাদিগের মধ্যে একজন ছিলেন, সুতরাং তঁাচার স্মৃতিচিহ্ন বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎমন্দিরে রাখা অতীব কর্ত্তব্য, এই ভাব মনে আসাতে স্মৃতিচিহ্নগুলি Tঠাহীদের হাতে-দিয়াছি। ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত লিখিবার সূচনা। -আমি ছয়মাস কাল মাত্র ইংলেণ্ডে ছিলাম। যাহা যাহা দেখিয়াছিলাম, তদ্ব্যতীত দেখিৰায় আবও অনেক স্থান ও বিষয় ছিল । কিন্তু আমার স্কন্ধে গুরুতর এক কার্য্যের ভার পড়াতে শেষ কয়েক মাস আমার দেখাশুনার কিছু ব্যাঘাত ঘটিল। সে বিষয়টা এই। ট্রাবনার ( Trubner) নামক মুদ্রাকার কোম্পানীর মর্যানেজার একদিন কুমারী কলেটের নিকট হস্তলিখিত একখানি পুস্তক পঠাইয়া লিখিলেন যে, সেখানি একজন ভদ্রলোকের লিখিত ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত ; তিনি যদি অনুগ্রহ করিয়া দেখিয়া সংশোধন করিয়া দেন, তাহা হইলে তাহারা ছাপিতে পারেন। কুমায়ী কলেট পড়িয়া দেখিলেন তাহাতে অনেক স্থলে ভুল আছে; তাহ মা ছাপাই ভাল। এই কথা বলিরা তাহাদিগকে লিখিলেন, "ব্রাহ্মসমাজের একজন নেতা এখন এখানে আছেন, তোমরা যদি ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত ছাপিতে চাও, আঁহা দ্বারা লিখাইয়া দিতে পারি।” এই বলিয়া আমাকে ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত লিখিবার জন্য ধরিয়া বসিলেন। আমি তাহার