মুখে প্রকাশ্য সভায় ইংরাজী ভাষাতে সেই অনর্গল বক্তৃতা শ্রবণ করিয়া অনেকেই মুগ্ধ হইয়াছিলেন। সে দিনকার বক্তৃতায় আনন্দী বাঈ যে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিয়াছিলেন, সেগুলি এই,
১। আমি কেন আমেরিকায় যাইতেছি?
২। ভারতবর্ষে থাকিয়া কি শিক্ষালাভ অসম্ভব?
৩। আমি একাকিনী যাইতেছি কেন?
৪। আমেরিকা হইতে ফিরিয়া আসিলে সামাজিকগণ আমায় জাতিচ্যুত করিবেন কি না?
৫। যদি বিদেশে আমার কোনও বিপদ ঘটে, তাহা হইলে আমি কি করিব?
৬। আজ পর্য্যন্ত কোনও রমণী যে কার্য্য করেন নাই, সে কার্য্যে আমি হস্তক্ষেপ করিতেছি কেন?
প্রথম প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এ দেশীয় মহিলাসমাজের যত প্রকার অভাব আছে, তন্মধ্যে চিকিৎসা-শাস্ত্রে জ্ঞানসম্পন্না রমণীর অভাবই সর্ব্ব প্রধান। এ দেশের অনেক সভাসমিতি স্ত্রী-শিক্ষা, স্ত্রী-স্বাধীনতা ও শিল্প-কলা-বিজ্ঞানাদির প্রবর্ত্তন-বিষয়ে যত্নশীল হইয়াছেন; কিন্তু দেশীয় রমণীদিগকে আমেরিকার ন্যায় সভ্য দেশে প্রেরণ-পূর্ব্বক চিকিৎসা-শাস্ত্রে পারদর্শিনী করিয়া তাঁহাদিগের দ্বারা এদেশে চিকিৎসা-বিদ্যার বিস্তার-বিষয়ে কেহই মনোযোগ দেয় নাই। ইউরোপীয় বা আমেরিকা দেশীয় চিকিৎসয়িত্রীরা এদেশের রীতি-নীতি-বিষয়ে অনভিজ্ঞা ও ভিন্ন ধর্ম্মাবলম্বিনী। এ কারণে তাঁহাদিগের দ্বারা এদেশীয় রমণীবৃন্দের চিকিৎসা-কার্য্য সুচারুরূপে