পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অধ্যায়: ছয়

ঈশ্বর বিশ্বাস: আপ্লুত বিজ্ঞানী ও ভুরু কোঁচকানো বিজ্ঞানী

O

কিছু বাঙালি বিজ্ঞানী ঈশ্বর মানেন। ঈশ্বর মানার পক্ষে তাঁদের যুক্তিগুলো এই অধ্যায়ে হাজির করব। বিজ্ঞানীদের এইসব যুক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটাবার দায়িত্ব নিয়েছিল বাংলা দৈনিক পত্রিকা 'যুগান্তর'। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এই যে, প্রথম কিস্তির লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮১ সালের ‘আন্তর্জাতিক যুক্তিবাদী দিবস'-এ অর্থাৎ ১ মার্চ।

আমরা অবশ্য এখানে ঈশ্বর-বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের যুক্তিগুলোকে হাজির করেই ক্ষান্ত হব না, বিশ্লেষণ করে দেখব—যুক্তিগুলো বাস্তবিকই কতটা যুক্তি।

O

এক: মণীন্দ্রমোহন চক্রবর্তী, প্রাক্তন উপাচার্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ইংলণ্ডের রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ কেমিস্ট্রির ফেলো। ভারতে নামী-দামি রসায়নবিজ্ঞানী যাঁরা আছেন, তাঁদেরই একজন।

 মার্কস-এঙ্গেলস নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করেছেন এককালে। বর্তমানে মার্কসবাদের চেয়েও মানবেন্দ্রনাথ রায়ের (র‌্যাডিক্যাল হিউম্যানিজিমের প্রবক্তা) মানবতা বিকাশের পথনির্দেশকে বেশি গ্রহণযোগ মনে করেন, এবং সে কথা সোচ্চারে প্রচারও করেন। ১৯৮৯ -এ পোঁছে মণীন্দ্রমোহন জানালেন, “বস্তুবাদে বা জড়বাদে মানুষের মুক্তি নেই! নাস্তিকতা মানুষকে শান্তি দিতে পারে না।”

 তাহলে শোষণ থেকে মুক্তি পেতে, অসাম্যের সমাজ কাঠামোর অনিবার্য ফল যে ‘অশান্তি', তাকে বিদায় দিয়ে 'শান্তি'কে ফিরিয়ে আনতে কী করতে

১৪৭