আনুপূর্ব্বিক বলিল। সঙ্গিরা শুনিয়া বগল বাজাইয়া নেচে উঠিল —তাহাদিগের রাতিব টানাটানির জন্য প্রায় বন্ধ। এক্ষণে সাবেক বরাদ্দ বহাল হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। তাড়া তাড়ি, হুড়াহুড়ি করিয়া মানগোবিন্দ এক চোঁচা দৌড়ে তর্কসিদ্ধান্তের টোলে উপস্থিত হইয়া হাঁপ ছাড়িতে লাগল। তর্কসিদ্ধান্ত বড় প্রাচীন, নস্য লইতেছেন —ফেঁচ্২ করিয়া হাঁচতেছেন —খক্২ করিয়া কাস্তেছেন —চারিদিকে শিষ্য —সম্মুখে কয়েকখানা তালপাতায় লেখা পুস্তক —চস্মা নাকে দিয়ে এক২ বার গ্রন্থ দেখিতেছেন, এক২ বার ছাত্রদিগকে পাঠ বলিয়া দিতেছেন। বিচলির অভাবে গোরুর জাবনা দেওয়া হয় নাই —গোরু মধ্যে২ হাম্মা২ করিতেছে —ব্রাহ্মণী বাটীর ভিতর হইতে চীৎকার করিয়া বলিতেছেন —বুড় হইলেই বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ হয়, উনি রাতদিন পাঁজি পুথি ঘাঁট্বেন, ঘরকন্নার পানে একবার ফিরে দেখ্বেন না। এই কথা শিষ্যেরা শুনিয়া পরস্পর গা টেপাটিপি করিয়া চাওয়াচাওয়ি করিতেছে। তর্কসিদ্ধান্ত বিরক্ত হইয়া ব্রাহ্মণীকে থামাইবার জন্য লাঠি ধরিয়া সুড়২ করিয়া উঠিতেছেন এমন সময়ে মানগোবিন্দ ধরে বসিল —ওগো তর্কসিদ্ধান্ত খুড়! আমরা সব সৌদাগরি করিতে যাব একটা ভাল দিন দেখে দেও। তর্কসিদ্ধান্ত মুখ বিকটসিকট করিয়া গুমরে উঠিলেন —কচুপোড়া খাও —উঠ্ছি আর অম্নি পেচু ডাক্ছ আর কি সময় পাওনি? সৌদাগরি কর্তে যাবে! তোর বাপের ভিটে নাশ হউক —তোদের আবার দিনক্ষণ কি রে? বালাই বেরুলে সকলে হাঁপ ছেড়ে গঙ্গাস্নান কর্বে —যা বল্গে যা যে দিন তোরা এখান থেকে যাবি সেই দিনই শুভ।
মানগোবিন্দ মুখছোপ্পা খাইয়া আসিয়া বলিল যে