খাকি আমতা-আমতা করে বললে, “এই চোখ আর ঘাড়ট টনটন করছিল—”
“কাকে দেখবার জন্যে।” কুঁকড়ো শুধোলেন। খাকি বললে, “কাকে আবার” কুঁকড়ে বললেন, “হা, শুনি, কাকে।”
খাকি কান্নার স্বর ধরলে, “তুমি বল কি গো।” কুঁকড়ো ধমকে বললেন, “চোপরাও, সত্যি কথা বল।” খাকি বিনিয়ে-বিনিয়ে বললে, “পিউ পাখিকে।”
কুঁকড়ে খাকির দিক থেকে একেবারে মুখ ফেরালেন, খাকি আস্তে আস্তে পগার পারে দৌড় দিলে।
কুঁকড়ো কুকুরকে বললেন, “একটা ঘড়িকে ভালোবাসা, এমন তো কোথাও শুনি নি। এ বুদ্ধি খাকিকে দিলে কে বলে তো।”
“ওই ছিটের মেরজাই-পর চিনে মুরগিটার কাজ।” কুকুর উত্তর দিলে।
কুঁকড়ো শুধোলেন, “কোন্ মুরগিটি, বলে তো। ওই যেটা বুড়ো বয়েসে ঠোঁটে আলতা দিয়ে বেড়ায় সেইটে নাকি।”
কুকুর উত্তর করলে,“হঁ। হাঁ, সেই বটে। তিনি যে আবার সবাইকে বৈকালি পার্টি দিচ্ছেন।”
“কোথায় সেটা হচ্ছে।” কুঁকড়ো শুধোলেন।
চড়াই উত্তর দিলে, “ওই কুল গাছটার তলায় যেখানে পাখি তাড়াবার জন্যে একটা খড়ের সাহেবি কাপড়-পরা কুশোপুতুলের কাঠামো মালী খাড়া করে রেখেছে, সেইখানে। খুব বাছা-বাছা নামজাদা পাখিরাই আজ যাবেন। কাঠামোর ভয়ে ছোটোখাটো পাখিরা সেদিকে এগোতেই সাহস পাবে না।”
কুঁকড়ো আশ্চর্য হয়ে বললেন, “বল কি, চিনে মুরগির বৈকালি।”
চড়াই ঠিক তেমনি সুরে উত্তর দিলে, “হাঁ মশায়, প্রতি সোমবার পাঁচ হইতে ছয় ঘটিকা পর্যন্ত মুরগি-গিন্নির ঘোরো মজলিস হইয়া থাকে।”
“তা হলে আজ বৈকালে—”কুঁকড়ো আরো কী শুধোতে যাচ্ছিলেন, চড়াই বলে উঠল, “না, আজ ভোরবেলায়।”
“ভোরবেলায় বৈকালি তো কখনো শুনি নি হে।” কুঁকড়ো আশ্চর্য খুবই হলেন। চড়াই