পাতা:আলোর ফুলকি.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আলোর ফুলকি
৭৭

 কাঠঠোকরা শুধলে, “কী বলছে? কী?”

 কুঁকড়ো বললেন, “দুকুড়ি দশটা মুরগির বাচ্ছা ফুটেছে?” তার পর আবার একটু শুনে বললেন, “বলো কী। তন্মার ভারি ব্যায়রাম”

 কী একটা গোল বাধল। কুঁকড়ো বললেন, “রোসে, রোসে। কী। ভালো শোনা যাচ্ছে নাহে। আঃ, মশাগুলো জালালে। চড়াই, আঃ, হা হা তারপর, জিম্মাকে নিয়ে তারা শিকারে বেরবে। বল কী হে। “জিন্ম গোলাবাড়ির একজন।”—কাঠঠোকরাকে এই বলে কুঁকড়ো আবার ফেঁধরলেন, “কী বললে? আমি চলে আসবার পর থেকে সব কাজে গোলমাল চলেছে? এ তে জানা কথা— এই সেদিন এসেছি এরি মধ্যে. যেতে হবে. তাই তে কী করা যায় হে... যাব নাকি। কী বল।” কাঠঠোকরা চুপিচুপি বললে, “সোনালি আসছেন।” কিন্তু কুঁকড়ো তখন মন দিয়ে কানে ফুলটা চেপে ধরেছেন, কাঠঠোকরার কথা তার কানেইগেল না। কথা চলল, “কী বললে? হাসগুলো সারারাত লাঙলটার তলায় ঘুমিয়েছে? বল কী!” কাঠঠোকরা কুঁকড়োকে বলছে, “থাক, দেখো, চুপ।” কিন্তু কিছু ফল হচ্ছে না। ওদিকে সোনালি এসে উপস্থিত। কাঠঠোকরাকে ইশারায় চুপ করতে ব’লে সোনালি কুঁকড়োর পিছনে লুকিয়ে দাড়াল।

 ফোনে কুঁকড়ো বললেন, “বল কী, সব কজনেই? ও? ময়ুরটা তা হলে মাটি হয়েছে বলে।” *

 কাঠঠোকরা আবার মুখ বার করতেই সোনালি তার দিকে এমনি চোখ রাঙিয়ে উঠল যে সে তাড়াতাড়ি কোটরে যেমন সেঁধবে, অমনি দরজায় মাথা ঠুকে ফেললে। কুঁকড়ো ফোনে বললেন, “মুরগিরাসব. আঃ,ভালো আছে শুনে খুশি হলেম. গান? ও গান করি বৈকি। হারোজ। কিন্তু এখান থেকে একটু দূরে. ওই যে দিঘিটা আছে, তারি ধারে। হাঁ, নিত্যি নিত্যি, ঠিক আগেরই মতো।”

 রাগে সোনালি লাল হয়ে উঠল; তাকে লুকিয়ে গান গাওয়া হয়। এত বারণ করলুম.।

 কুঁকড়োর কথা চলল, “সোনালি গাইতে মান করে, তাই লুকিয়ে আমি আলো আনছি আজকাল।” সোনালি এক-পা কুঁকড়োর দিকে এগিয়ে শুনলে, কুঁকড়ে বলছেন, “যখন