পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত । দিন প্রাতে পান্থশালার রক্ষককে বলিল যে এই মুদ্র লও, ইহা দ্বারা এই রোগীকে ঔষধ পথ্য দিৰে, আরো কিছু যদি আবশ্যক হয় আমি প্রত্যাগমন কালে তোমাকে দিয়া যাইব । এই বলিয়া সে নিজকার্ঘ্যে গম্যস্থানে চলিয়া গেল। বিপন্ন ব্যক্তির পক্ষে এই তিন জনের মধ্যে কে প্রতিবাদী ? ” যুবা বলিল, “শেষোক্ত ব্যক্তি।” তখন যিশু তাহাকে উপদেশ করিলেন যে, “যদি সিদ্ধ হইতে চাও তবে সমস্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া দুঃখীদিগকে দান কর, তৎপরিবর্তে স্বর্গে ধনরাশি প্রাপ্ত হইবে ; এবং কুশ স্বন্ধে লইয়। আমার পশ্চাদগামী হও । " এই নিদারুণ উপদেশ শ্রবণে নিতান্ত ক্ষুণ্ণমনা হইয়া সে যুব ঘরে চলিয়া গেল ; কারণ সে প্রচুর সম্পত্তির অফি স্বামী ছিল। তখন যিশু চারি দিকে চাহিয়া বলিতে লাগিলেন, “ধনীর পক্ষে স্বৰ্গরাজ্যে প্রবেশ করা বড়ই কঠিন ; বরং ইহা অপেক্ষ স্বচীর ছিদ্রের ভিতর দিয়া উষ্ট্রের গমন সহজ। ” এ কথায় শিষ্যেরাও বিন্মিত হইয়া বলিল, “তবে আর কে পরিত্রাণ পাইবে ?” যিশু বলিলেন, “হে বৎসসকল ! মনুষ্যসম্বন্ধে ইহা অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের নামে সকলি সম্ভব হয় । ” যিশুর কথার তাৎপৰ্য্য ইহা নহে যে ধন ঐশ্বর্ঘ্য থাকিলে মুক্তিলাভের আর কোন আশা নাই। ধনিসস্তানের বিলাসসম্ভোগের বস্তুও অনেক, তাহা লাভের উপায়ও আয়ত্তাধীন, প্রলোভন যথেষ্ট, সুতরাং ধন ও পার্থিব ক্ষমতার উপর তাহার সমস্ত নির্ভর, দৈবশক্তির মূল্য তিনি জানেন না ; এই জন্য র্তাহার পক্ষে স্বৰ্গপ্রবেশ বড় কঠিন। ইহাতে ধনের দোষ কিছু নাই, তাহার মনের দোব। ঈশ্বরচরণে ধন সম্পদ উৎসর্গ করিয়া স্বৰ্গরাজ্য বিস্তারের জন্য তাহ ব্যয় করিলে তদ্বারা মুক্তির পথ পরিষ্কার হয় ; সেরূপ ধনের সহিত বৈরাগোর কোন বিরোধ নাই ; ইহার আভাস র্তাহার অন্য উপদেশে প্রকাশ আছে। অগ্ৰে স্বৰ্গরাজ্য অম্বেষণ করিলে অন্যান্য প্রয়োজন স্বসম্পন্ন হয়, এই বাক্যের মধ্যে উভরের সামঞ্জস্য অবস্থিতি করিতেছে । যিশুর মনে যেমন বৈষয়িক লালসা ছিল না তেমনি তৎসংক্রান্ত কোন প্রকার প্রভুত্বের ভাবকেও তিনি অস্তরে স্থান দিতেন না । কোন মোহান্ধ ব্যক্তি আসিয়৷ অভিযোগ করিল যে, “প্ৰভু, আপনি আমার ভ্রাতাকে