পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চচ ও আরবীয়দিগের সিন্ধু অধিকার।
৫৩৩

পুত্ত্রকে পরাস্ত করিয়া শিওয়িস্তানে গমন করিয়া তথাকার অধিপতি মাট্টাকে যুদ্ধে পরাস্ত করিলেন। কিন্তু তাহার প্রতি দয়া প্রকাশ করিয়া পুনরায় তাহাকে রাজ্য প্রত্যর্পণ করেন এবং তথায় নিজের একজন বিশ্বাসী কর্মচারীকে রাখিয়া আসেন।

 ব্রাহ্মণাবাদের অধিপতি অঘম লোহান তাহাকে কর দিতে অস্বীকৃত হওয়ায় চচ ব্রাহ্মণাবাদ অভিমুখে সসৈন্যে যাত্রা করিলেন। দুই পক্ষে ভীষণ যুদ্ধ হইল। অনেকে নিহত ও আহত হইল। তখন অঘম পলায়ন পূর্ব্বক দুর্গাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া দুর্গদ্বার বন্ধ করিয়াদিলেন। চচ দুর্গ অবরোধ করিয়া রহিলেন। এই দুর্গাবরোধ এক বৎসর কাল ছিল।

 অঘম কনৌজাধিপতি রাসলের পুত্ত্র শতবানকে সাহায্যের জন্য লিখিয়া পাঠাইলেন। কিন্তু পত্ত্রের উত্তর আসিবার পূর্ব্বেই অঘমের মৃত্যু হইল। বুধ নৌবিহার মন্দিরের উপাসক বুধরাঘু নামক ব্যক্তি অঘমের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল। তাহারই উপদেশে অঘম চচের হস্তে দুর্গ পরিত্যাগ করেন নাই। অঘমের, মৃত্যু হইলে তাহার পুত্ত্র সরবন্দ রাজ্যের শাসন ভার পাইলেন। এই খবরে বুধরাঘু স্বীয় মন্দিরে ফিরিয়া গেলেন। সরবন্দ দুর্গদ্বার চচকে খুলিয়া দিলেন। বুধরাঘুর বিষয় শুনিয়া চচ তাঁহাকে বধ করিবার আজ্ঞা প্রদান করিলেন। চচ সরবন্দের সহিত সন্ধি স্থাপন করিলেন। অঘমের স্ত্রীকে নিজে বিবাহ করিলেন এবং সরবন্দের সহিত তাঁহার ভ্রাতুষ্পত্রের কন্যার বিবাহ দিলেন। ইহার পর চচ বুধরাঘুকে বধ করিবার অভিপ্রায়ে তাহার মন্দিরের দিকে যাত্রা করিলেন তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলেন যে বুধরাঘু আসনে উপবিষ্ট হইয়া হস্তে মৃত্তিকা লইয়া মূর্ত্তি রচনা করিতেছেন। বুধরাঘুর পশ্চাতে এক ভীষণ জায়া মূর্ত্তি চচের নয়নগোচর হইল, ইহাতে চচ অত্যন্ত ভীত হইলেন এবং তাঁহাকে বধ করা দূরে থাকুক কিরূপে বুধরাঘুকে তুষ্ট করিবেন তাহারই চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এবং সাওয়ান্দশীতে যে জীর্ণ বুধ নৌভিহার মন্দির ছিল উহার সংস্কার করিবেন এইরূপ অঙ্গীকার করিয়া ব্রাহ্মণাবাদে প্রত্যাগমন করিলেন। ব্রাহ্মণাবাদের রাজস্ব নির্দ্ধারণ করিয়া কিরমান অভিমুখে যাত্রা