পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR o কবিকঙ্কণ-চণ্ডী এতৎকালের একজন দিগ্বিজয়ী রাজার বিবরণ জানিতে পারা যায়। ইনি চেতো বংশোদ্ভব খারবেল। তিনি মগধ ও উত্তরাপথ বিজয় করিয়াছিলেন। আর-একজন রাজা ঐর প্রথমে সনাতন-ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন । তার পর তিনি প্ৰাচীন রাজত্বকালে উপনিবিষ্ট শ্রমণদিগকে আহবান করিয়া বিহার প্রতিষ্ঠা করেন এবং তঁহাদের নিকট পবিত্ৰ শাস্ত্ৰ শিক্ষা কবিতে প্ৰবৃত্ত হন। খৃষ্টীয় শতকের আরম্ভকালে বিস্তৃত কলিঙ্গ রাজ্য বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছিল এবং তাহা হইতে কালক্রমে তাম্রলিপ্তি ( দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ) ওড় ( উড়িষ্যা ) প্ৰভৃতি কতিপয় রাজ্যের উদ্ভব হয় । কলিঙ্গ রাজ্যের সীমা চিল্কা হ্রদ হইতে গোদাবরী নদী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ হইয়া পড়ে । প্রথমতঃ অন্ধগণ খণ্ডিত কলিঙ্গ বাজ্যে অধিকার স্থাপন করেন। একসময় পূৰ্ব্বশাখাভূক্ত চালুক্যগণ তথায় রাজত্ব কবিতেন। খণ্ডিত কলিঙ্গরাজ্য সমৃদ্ধিশালী ছিল । প্ৰাচীন কলিঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় অংশ ওড়নামে পরিচিত হইয়াছিল। হাণ্টােব সাহেবের মতে ওড় শব্দ অনাৰ্য্য ভাষা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। ওড়ি শব্দের পাব দেশ শব্দ যুক্ত হওয়াতে এই দেশ ওড্রদেশ ও কালক্রমে উড়িষ্যা নামে খ্যাতিলাভ করিয়াছে। উড়িষ্যার সংস্কৃত নাম উৎকল । সনাতন-শাস্ত্রবেত্ত্বগণের নিকট উৎকল দেশ অপবিত্র ছিল। মনু (দশম অধ্যায় ৪৪ শ্লোকে ) ওড় দেশায় ক্ষত্ৰিয়দিগকে শূদ্ররূপে নির্দেশ করিয়াছেন। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মেব প্রাধান্যই তাদৃশ অপবিত্রতাব কারণরূপে নির্দিষ্ট হইতে পারে। জৈন ধৰ্ম্মও এক সময় উড়িষ্যায় প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল |”-শ্ৰীরামপ্রাণ গুপ্ত, উড়িষ্যা প্ৰবন্ধ, প্ৰাচী আশ্বিন ১৩৩০ ৷৷ শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙ্গালার ইতিহাস দ্রষ্টব্য। এতে কলিঙ্গাঃ কৌন্তেয় যাত্র বৈতরণী নদী । --মহাভারত বনপৰ্ব্ব ১১৪ অধ্যায় । রঘু দিগ বিজয় করিতে যাইবার সময় কপিশা বা কাসাই নদী উত্তীর্ণ হইয়া “উৎকলাদৰ্শিতপথ: কলিঙ্গাভিমুখো যযৌ।”--রঘুবংশ ৪৩৮। জগন্নাথাৎ পূৰ্ব্বভাগাৎ কৃষ্ণাতীরান্তগং শিবে।। কলিঙ্গদেশঃ সংপ্ৰোক্তে বামমাৰ্গাপরায়ণ: | ঔড়দেশাদ উত্তরে চ কলিঙ্গে বিশ্রাতো ভুবি। -কবিরাম-কৃত দিগ বিজয়প্ৰকাশ। প্লিনি বলিয়াছেন। গঙ্গাসাগরের নিকট ও টোলেমী বলিয়াছেন তাম্রলিপ্তের নিকট