পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

Σ8 কবিকঙ্কণ-চণ্ডী ক্ৰমশ: লোকোব দেবকল্পনা উন্নত ও পরিমার্জিত হইলে বিঘ্নেশ গণেশ বিয় নাশন হইয়া উঠিলেন । SHB SY DBBDDBDBD DBDB DDS KKKuSuBD DBDBDBBD g LKKD অনুসরণ করিতে পারা যায়। পঞ্চতন্ত্র পঞ্চম শতাব্দীর রচনা; তার আরম্ভ হইয়াছে বহুদেবতাকে প্ৰণাম করিয়া, কিন্তু সেই দেববর্গের মধ্যে গণেশেব নাম নাই । বৎস, ভট্টি, কালিদাস, ভারবি প্ৰভৃতি ৫ম ও ৬ষ্ঠ শতাব্দীর কোনো কবির কোনো গ্রন্থে গণেশেব উল্লেখ নাই। ঐ যুগের প্রস্তবলিপিতেও গণেশের নাম পাওয়া যায় না। ভারতের নৃত্যশাস্ত্র বা নাট্যশাস্ত্ৰ যত রাজ্যের দেবতাব নাম করিয়াছে, কিন্তু গণেশের নাম করে নাই। বাণভট্ট ও ভবভূতি ৭ম শতাব্দীর কবি। বাণভট্টের কাদম্বরীতে গণেশের উল্লেখ আছে ; সাহিত্যে এই প্ৰথম হস্তীমুণ্ড গণপতির সহিত সাক্ষাৎ ; কিন্তু এখানে গণপতি গন্ধৰ্ব্ব কিন্নর প্রভৃতি গণদিগের সহচর মাত্র, স্বাধীন দেবতা নহেন। ভবভূতির মালতীমাধবে সৰ্ব্বপ্রথমে গণেশের পূজনীয়তা প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাই।-- नांनौ নৃত্য করে শূলপাণি তাধিয়া তাধিয়া, মৃদঙ্গ বাজায় নদী আনন্দে মাতিয়া। তাহা শুনি ডাকি উঠে কাৰ্ত্তিক-ময়ূরে, ফণিপতি ভয়ে পশে গণপতি-গুড়ে । চীৎকাব করিয়া কঁপে ভয়ে গজানন, গণ্ড হতে ভৃঙ্গ গুঞ্জি করে পলায়ন । এই সেই সিদ্ধিদাতা দেব বিনায়ক চিরকাল তোমাদের হউন রক্ষক । --মালতীমাধব, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদ । যে-সব পুরাণে গণেশের প্রাধান্ত প্ৰতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা দেখি সেগুলি সবই দাক্ষিণাত্যে রচিত। ভবভূতিও দাক্ষিণাত্যের কবি। এখনও দাক্ষিণাত্যেই গণপতির পূজা ও প্রভাব অধিক পরিলক্ষিত হয় । গণেশের মহিমা বৃদ্ধির জন্য দ্রাবিড় দেশে অথর্ববেদের অনুকরণে একখানি জাল বৈদিক গ্ৰন্থ প্রণীত হয়, তার নাম গণেশাখৰ্ব্বশীৰ্ষ । ইহা ৮ম শতাব্দীরও পরের রচনা । এইসব নানা কারণে মনে হয়। গণেশ ঠাকুরেব প্রথম জন্ম দক্ষিণ দেশেই ।