পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট গোড়নগরের প্রান্তে এক সরসীর ধ্বংসপ্রায় ঘাটে এক শুভ্রক্লেশ৷ শুভ্ৰবসনা প্রোঢ়ার স্বন্ধে উরদিয়া একজন একপদ ও একহন্ত প্রৌঢ় নীরবে দাড়াইয়া ছিল। প্রৌঢ় কহিতেছিল, "ঠাকুরের আজ্ঞাপুালন করিয়াছি, এইবার নূতন করিয়া ,ঘর বাধিব । দেখ, মৰ্ম্মরের আচ্ছাদন পর্যান্ত কে খুলিয়া লইয়া গিয়াছে।” সত্য সত্যই এককালে সেই সরোবরঘটায় শুভ্ৰমৰ্ম্মরের আচ্ছাদন ছিল। তাঙ্গর দুই এক থওঁ তখনও ইষ্টকের সোপানে লাগিয়াছিল। সেই সময়ে দূরে কে বলিয়া উঠিল, "চন্দ্রগুপ্তের লবণ কেন্ঠ কি কখনও আস্বাদন করিয়াছিলি ?” উক্তি শুনিয়া বিকলাঙ্গ প্রৌঢ় উত্তেজিত হইয়া উঠিল এবং তীব্রস্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?” তখন এক বিরল কেশ মলিনবসনপরিহিত দীর্ঘাকার বৃদ্ধ সেই ধ্বংসপ্রায় সরোবরঘটায় আসিল এবং তারস্বরে বলিয়া উঠিল, “তুই কি কখনও দ্বিতীয় চন্দ্র গুপ্তের লবণ ভোজন করিয়াছিলি ? ভিক্ষণ দে, এক কপদক ডিক্ষা— দে । সাম্রাজ্যে অর্থ নাই, বল নাই । স্কন্দ গুপ্তকে রক্ষা করিতে হইবে নতুবা আর্যাবৰ্ত্ত রক্ষা করিবে কে ?” প্রৌঢ় প্রৌঢ়ার স্কন্ধে মস্তক রাখিয়া কহিল, “পিতামহ ।” বিরলকেশ বৃদ্ধ ছুটিয়া পলাইল ।