পাতা:কর্ণানন্দ.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় নির্যাস । ' 66: করিতে ॥ রামচন্দ্রে বসাইলা মনের হরিযে। আর যত ভক্তগণ বসিলা তার পাশে া তার পর দুই ঈশ্বরী প্রসাদ লইয়া । প্রভুরে আনিয়া দিলেন মহাহৃষ্ট হইয়া । তবে সব ভক্তগণে দিলেন প্রসাদ । পরিবেশন করে দুহে পাইয়া আহলাদ ॥ প্রভু বসিলেন তবে ভোজন করিতে । শ্ৰীমতী যাইয়। তবে পাতিলেন হাতে ॥ প্রভুর অধর শেষ লইয়া কৌতুকে । সবাকারে দিল। তাহা মহানন্দ সুখে ॥ তিন দিন বহি অন্ন জল দিলা মুখে । প্রসাদ সেবন করেন পরম কৌতুকে ॥ এইমতে সবেই ভোজন সমাপিয়া । আচমন করি সবে বসিলেন গিয় ॥ মুখশুদ্ধি করিলেন মনের আনন্দে। শয্যালয়ে গমন তবে করিলা স্বচ্ছন্দে ॥ তবে প্রভু শয্যায় যাই করিলা শয়ন । রামচন্দ্র করিতেছেন পাদসম্বtহন ৷ রাজা আদি করি যত প্রভুর ভক্তগণ । প্রভু রামচন্দ্র রূপ করে নিরীক্ষণ ॥ পশ্চাতে শ্ৰীমতী দুই প্রসাদ পাইয়া । বসিয়াছেন দুই জনে আনন্দ পাইয় ॥ নিদ্রাতে আবেশ প্রভু হুইলা যখন । রাগচন্দ্র লইয়া সবে আইলা তখন ॥ শ্ৰীমতীর নিকটেতে সবেই আসিয়া । কহিতে লাগিলা সবে বিনয় করিয়া ৷ এইমতে দেখিল যত প্রভুর ভক্তগণ । জানিলেন শ্ৰীমতী যে লাগিয়া গমন । রামচন্দ্র মুখে যাহা করিয়াছি শ্রবণ । সাবধান হইয়া শুন করি একমন ॥ শুন শুন ভক্তগণ শ্রবণ পূরিয়া । ধ্যানে বলিছিল প্রভু যাহার লাগিয়া ॥ পরম আনন্দ এই রাধাকৃষ্ণলীলা কহিতে না পারি তাহ অতি নিরমলা ॥ কে কহিতে পারে তাহা করিয়া বিস্তার। সংক্ষেপে কহিয়ে কিছু যেবা বাৰ্ত্ত সার ॥ অদভুত এই জলকেলি স্থবিহার ।