পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়। '
২৮৫

গেলে, তিনি বর্ত্তমান বাঙ্গালা সাহিত্যকে এক অভিনব পথে পরিচালিত করিয়াছেন। বিদ্রূপবাণবর্ষণ দ্বারা হৃদয়ের মর্মগ্রন্থি ছিন্ন করিবার তাহার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। তাঁহার রচনায় তাঁহার অসামান্য বিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণশক্তি এবং সরস রসিকতা প্রকাশ পাইত। চরিত্রচিত্রণে তিনি যে অদ্ভুত নৈপুণ্য প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, বস্তুতঃ তাহার তুলনা নাই।

 বঙ্গবাসী—সুলত বাঙ্গালা সংবাদপত্র প্রচার বিষয়ে “বঙ্গবাসী”র প্রতিষ্ঠাতারাই সবিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন ও সাফল্য লাভ কয়িয়াছেন। লর্ড রিপণের শাসনকালে কতকগুলি স্বাধীনচিত্ত দেশহিতৈষী মহাত্মার যত্নে এই পত্র প্রথম প্রকাশিত হয়। ঐ সকল মহাত্মার মধ্যে শ্রীযুক্ত উপেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহ রায় এবং ইহার বর্তমান সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী যোগেন্দ্রচন্দ্র বসুর নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। জন্মবধি ইহার প্রবন্ধাবলী পাঠকদিগের চিত্তাকর্ষণ করিতে লাগিল, এবং ইহা সত্বরেই প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন ও ক্ষমতাশালী হইয়া উঠিল। এ পর্যন্ত কোন সংবাদপত্রের ভাগ্যে যাহা ঘটে নাই, ইহার ভাগ্যে তাহাই ঘটিল,—বাঙ্গালা সংবাদপত্রের ইতিহাসে যাহা হয় নাই, ইহই তাহার হইল,—বঙ্গবাসী ১৫ হইতে ২০ হাজার নিয়মিত গ্রাহক সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইল। এই অসাধারণ সমৃদ্ধির প্রধান কারণ যোগেন্দ্রচন্দ্র বসুর সুদক্ষতা। তাহার সুদক্ষ পরিচালনগুণে কেবল যে কাগজখানি অশ্রুতপূর্ব ও অতুলনীয় মর্যাদা ও সমৃদ্ধি লাভ করিয়াছিল তাহা নহে, প্রত্যুত শ্রীযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার, শ্রীযুক্ত চন্দ্রনাথ বসু, শ্রীযুক্ত ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি সুলেখকগণ ইহার সহিত একমতাবলম্বী হইয়া বঙ্গবাসীর উন্নতির জন্য কায়মনোবাক্যে চেষ্টা করিয়াছিলেন। হিন্দুধর্ম্মের পক্ষাব স্বম