পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়.
২৯৩

সাহেবের সভাপতিত্বে বৃটিশ ইণ্ডিয়ান সোসাইটী স্থাপিত হইলে প্যারীচাঁদ উহার সম্পাদক হন।

 বাঙ্গালা সাহিত্য-ক্ষেত্রে জোড়াসাঁকোবাসী সুপ্রসিদ্ধ ৺ কালীপ্রসন্ন সিংহ যে কাজ করিয়াছেন, তাহার যথোচিত প্রশংসা না করিয়া থাকা যায় না। তাহারই যত্নে এবং তাহারই প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানাধীনে সুপ্রসিদ্ধ মহাকাব্য মহাভারত বাঙ্গালা গদ্যে অনুদিত হয়। মহাভারতের আরও কয়েকখানি বাঙ্গালা অনুবাদ প্রকাশিত হইয়াছে বটে, কিন্তু মুলের প্রকৃতভাব বাস্তু এবং ভাষার বিশুদ্ধতা ও উচ্চতায় তাঁহাদের একখানিও কালীপ্রসন্ন সিংহের অনুবাদের সহিত তুলনীয় নহে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং অন্যান্য বহু খ্যাতনামা পণ্ডিত ইহার যথোচিত অনুবাদ ও বিশুদ্ধতার তত্ত্বাবধান করিয়াছিলেন। উদারহৃদয় মহাত্মা বাঙ্গালা ভাষার যে অপরিমেয় মহোপকার সংসাধন করিয়াছেন, তাহা কখনও বিস্মৃত হইবার নহে। দুর্ভাগ্যবশতঃ বাঙ্গালাভাষা পাশ্চাত্য পণ্ডিতদিগের নিকট অদ্যাপি অপরিজ্ঞাত; নচেৎ তিনি যে এতদিন তাঁহার পরিশ্রমের অনুরূপ পুরস্কার লাভ করিতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। তদানীন্তনকালে বাঙ্গালা ভাষার সে যে পরিমাণ স্বদেশানুরাগ ও স্বার্থ-তারে প্রয়োজন হইত, তা। অতি অল্প লোকেই প্রদর্শন করিতে পারিতেন। এরূপ স্থলে তিনি ও তার স্বদেশীয়গণের আন্তরিক কৃতজ্ঞতার পাত্র, তাহা কে অস্বীকার করিবে। তিনি বহু গুণী ব্যক্তির সহায় ও সুহৃদ ছিলেন। ঐ সকল গুণী ব্যক্তি পরে সংসার-ক্ষেত্রে বিভিন্ন পথে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন। বাঙ্গালা নাট্যশালার শ্রীবৃদ্ধিসাধনে তিনি বিস্তর সায়তা করিয়াছেন। তাঁহার হাস্যরসাত্মক ও বিদ্রুপা