পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১২
কলিকাতার ইতিহাস

ভদ্রলোক ইংরেজদের ভোজ-ব্যাপারে একটি বিবরণ প্রকাশ করিয়াছিলেন। অন্যান্য কথার পর উপসংহারকালে তিনি লিখিয়াছেন, “ভোজের পর তাহারা অতি অশ্লীলভাবে নৃত্য করে,— পরস্পরের স্ত্রীকে ধরিয়া টানাটানি করে।”

 অতএব এবংবিধ গুরুতর বিষয়ে আমরা নিজে দৃঢ়তার সহিত কোন কথা না বলিয়া, স্বয়ং ইউরোপীয়েরা এতদ্দেশের তদানীন্তন সাহেবসমাজের যে চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন, তাহাই পাঠকবর্গের সমক্ষে উপস্থিত করিব।

 জনৈক লেখক লিখিয়াছেন, “ইংরেজেরা ফ্যাশন বা দেশাচারের যেরূপ আজ্ঞাবহ দাস অন্য কোনও জাতি সেরূপ নহে।” কথিত আছে যে, ফ্যাশনই তাঁহাদের প্রধান উপাস্য দেবতা, এবং সেই দেবতার তুষ্টি-সাধনার্থ কোন প্রকার ক্ষতি স্বীকারেই তাঁহারা কাতর হন না। তাঁহাদের জাতীয় আচার-ব্যবহার ও কুসংস্কার কিরূপ দৃঢ়, তাহা পশ্চাদুদ্ধৃত বিবরণ হইতে বেশ বুঝা যায়;“কলিকাতার ও ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশে যে রোগ পীড়ার এত প্রাদুর্ভাব, তাহার একটা প্রধান কারণ এই যে, ইংরেজরা আপনাদের জীবনযাপন রীতি, পরিচ্ছদ পরিধান প্রণালীপ্রভৃতি দেশের জলবায়ুর অনুযায়ী করিয়া লইতে চাহেন না। ইংরেজ ভূমণ্ডলের যেখানেই যান না কেন, তিনি আপনার দেশাচারটি সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইতে চাহেন,—“তিনি লণ্ডনেও যেরূপ ‘টুপি-ওয়ালা’ কলিকাতাতেও সেই রূপ ‘টুপিওয়ালা'। এ বিষয়ে তাহাকে ব্যাটেভিয়া নগরস্থ ওলন্দাজের সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। আমাষ্টার্ডাম নগরে বিস্তর খাল-পরিখা আছে বলিয়া ব্যাটেভিয়ার ওলন্দাজেরা যব-দ্বীপের রাজধানীতেও