পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশম অধ্যায়।
৩১৫

ক্রয় করিবার নিমিত্ত সমুৎসুক হয়; আরও আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই সকল বিবাহ সাধারণতঃ সুখকর হইয়া থাকে।”

 উক্ত লেখকই আবার অন্য এক স্থানে সম্পূর্ণ ভিন্ন আর এক প্রকার মত প্রকাশ করিয়াছেন। খুব তাড়াতাড়ি (অর্থাৎ যথোচিত কোর্টশিপ না করিয়া) যে সকল বিবাহকার্য্য সম্পন্ন হইত, তাহাদের ফল সাধারণত শোচনীয় হইত। প্রণয়-ব্যাপারে ভার্সেলিস নগরের বিচারালয় যেরূপ প্রসিদ্ধ, এক সময়ে কলিকাতাও প্রায় সেইরূপ প্রসিদ্ধ ছিল, এবং ইটালীয় রমণীরা সাধারণত পতিকে যে চক্ষে দেখিয়া থাকে, কলিকাতার ইংরেজ-মহিলারাও প্রায় সেইরূপ চক্ষে স্বামীকে দেখিত। অতি সামান্যমাত্র রোগে আক্রান্ত হইলেই পত্নী পতিকে ত্যাগ করিয়া ইউরোপে গমন করিত, কারণ তৎকালে পতির প্রতি পত্নীর বা পত্নীর প্রতি পতির অন্তরে টান ছিল না। অনেক স্থলে জাহাজ কেডগিরিতে উপস্থিত হইতে না হইতে পতি আপনার অন্তঃপুর কৃষ্ণকায়া উপপত্নীগণে পরিপূর্ণ করিয়া ফেলিত। কোন কোন স্থলে এরূপও ঘটিয়াছে যে, স্থান পরিবর্তনের উপদেশ দিবার নিমিত্ত পতি ডাক্তারকে উৎকোচপ্রদানে বশীভূত করিয়াছে। এতাদৃশ অবস্থায় এই সকল বিবাহ সম্বন্ধে লোকে যে নানাপ্রকার কথা বলিবে, তাহাতে আশ্চর্যের বিষয় কি আছে? এ সম্বন্ধে একজন লিখিয়াছেন,—“কলিকাতার বিবাহানুষ্ঠানে হাইমেনের (প্রজাপতির) সহিত কিউপিডকে (কামদেবকে) অতি কদাচিৎ সন্ধ্যাকালে দেখিতে পাওয়া যায়।” বিবাহানুষ্ঠান সম্পন্ন হইত; ১৭৭৮ অব্দে এইরূপ প্রথাই দৃষ্ট হয়,—তাহার কত পুর্ব্ব হইতে এই প্রথা প্রচলিত হইয়াছিল, বলা যায় না। জনৈক লেখক লিখিয়াছেন;