পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়
৮৩

 জে, রেইনি সাহেব বলেন-“ব্রস সাহেবের মতে চার্ণক সকলেরই সবিশেষ সম্মানাস্পদ থাকিয়া কালগ্রাসে পতিত হইয়া ছিলেন; আশার অর্ম্মি বলেন যে, তাঁহার সামরিক অভিজ্ঞ কিছুমাত্র ছিল না বটে, কিন্তু সাহস যথেষ্ট ছিল, এবং নবাব এক সময়ে তাহাকে কয়েদ করিয়া রাখিয়াছিলেন ও কশাঘাত করিয়া ছিলেন বলিয়া ষে গবর্ণমেণ্টের হস্তে তিনি নিজে এই রূপ লাঞ্ছিত ও অবমানিত হইয়াছিলেন, সে গবর্ণমেটকে উপযুক্ত প্রতিষল দির জন্য সর্ব্বদা অধৈর্য্য প্রকাশ করিতেন। এবং যে সার জন গোল্ডসবরো ১৭৯০ কে কমিসারি জেনারেল হইয়া আসিয়াছিলেন, তিনি চার্ণককে অবস্থিতচিত্ত ও শ্রমকাতর বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। “

 চার্ণক সাহেবের জীবনের একটা ঘটনা কিঞ্চিৎ বিস্তৃতভাবে উল্লেখ করা আবশ্যক বোধ হইতেছে। ১৬৭৮ সালে একদা চার্ণক সাহেব হুগলি নগরে নদীর ধারে বেড়াইতেছিলেন, এমন সময়ে দেখিতে শইলেন যে, একটা পরমসুন্দরী হিন্দু বিধবা মহাড়ম্বরে বেশভূষা পরিধা করিয়া তাহার বৃদ্ধ পতির চিতায় অনুমৃতা হইবার জন্য শ্মশানাভিমুখে যাইতেছে, কিন্তু বোধ হইল যেন সে নিজে আত্মবিসর্জন করিতে ইচ্ছুক নয়। কোমল হৃদয় চার্ণক তাহার সৌন্দর্য্যে বিমুগ্ধ হইলেন, এবং কয়েকজনের সাহায্যে তাহাকে উদ্ধার করিয়ানি বাটীতে লইয়া গেলেন। অতঃপর যুবতী তাঁহার পত্নী হইল। তাহার গর্ভে সাহেবের কয়েকটি সন্তানও জন্মিয়াছিল। স্ত্রীলোকটা মৃত্যুমুখে পতিত হইলে, তাহার মৃতদেহ সেণ্ট গির্জার প্রাঙ্গণে সাহেবের পারিবারিক সমাধিস্থানেই গোর দেওয়া হইয়াছিল। কাপ্তেন হ্যামিল্টন বলেন, তাহার স্বামী প্রতি বৎসর