পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృJ28 কাদম্বরী । নেত্রজল মোচন করিয়া কহিল আমরা অচ্ছোদসরোবরতীরে যুবরাজকে দেখিয়াছি। অন্যান্ত সংবাদ এই ত্বরিতক নিবেদন করিতেছে, শ্রবণ করুন | ১৭ মহিষী তাহাদিগের বিষণ্ণ অকার দেখিয়াই অমঙ্গল সস্তাবন: করিতেছিলেন, তাহাতে আবার ত্বরিতক আর আর সংবাদ নিবেদন করিতেছে এই কথা শুনিয়া বিষয় হইয়া ভূতলে পড়িলেন । শিরে করাঘাতপূৰ্ব্বক হা হতাশ্মি বলিয়া বিলাপ করিয়া কছিলেন ত্বরিতক । আর কি বলিবে! তোমাদিগের বিষগ্ন বদন, কাতর বচন ও হর্ষশূন্ত আগমনেই সকল ব্যক্ত হইয়াছে। হা বৎস : জগদেকচন্দ্র । চন্দ্রীনন ! তোমার কি ঘটিয়াছে ? কেন তুমি বাট আসিলে না । শীঘ্ৰ আসিব বলিয়া গেলে, কই তোমার সে কথা কোথায় রহিল। কখন আমার নিকট মিথ্যা কথা বল নাই, এ বারে কেন প্রতারণা করিলে ? তোমার যাত্রার সময় আমার অন্তঃকরণে শঙ্কা হইয়াছিল, বুঝি, সেই শঙ্কা সত্য হইল। তোমার সেই প্রফুল্ল মুখ আর দেখিতে পাইব না ! তুমি কি একবারে পরিত্যাগ করিয়৷ গিয়াছ ? বৎস! এক বার আসিয়া আমার অঙ্কের ভূষণ হও এবং মধুরস্বরে মা বলিয়া ডাকিয় কর্ণকুহরে অমৃত বর্ষণ কর। এই হতভাগিনীকে মা বলিয়া সম্বোধন করে এমন আর নাই। তুমি কখন আমার কথা উল্লঙ্ঘন কর নাই, এক্ষণে আমার কথা শুনিতেছ না কেন ? কি জন্ত উত্তর দিতেছ না ? তুমি এমন বিবেচনা করিও না যে, বিলাসবতী চন্দ্রাপীড়ের অস্তগমনেও জীবন ধারণ করিবে । ত্বরিতকের মুখে তোমার সংবাদ শুনিতে ভয় হইতেছে। উহ! যেন শুনিতে না হয়। এই বলিয়া মহিষী মোহ প্রাপ্ত হইলেন । ১৮