পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

argitarren ર૭ চলিয়া যাইবে, তাহার। আমি কিরূপে সন্ধান রাখিব ? পরে খাজাঞ্জীর নিকট খবর পাইল যে, জামাইবাবু তিনি সহস্র টাকা লইয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছেন। কোথায় গিয়াছেন, কিংবা কবে ফিরিবেন তাহা কাহাকেও বলিয়া যান নাই । কমলা কিছুক্ষণ কপালে হাত দিয়া বসিয়া রহিল ; পরে তাহার পিতার উকিলবাবুকে ডাকিয়া বলিল, আমার বিষয়-সম্পত্তি দেখতে পারে, এমন একজন লোক এক সপ্তাহের মধ্যে বাহাল করে দিন ; যেমনই বেতন হোক, আমি দেব। bo কলিকাতার একটা ক্ষুদ্র অপ্ৰশস্ত গলির ভিতর একখানা ছোট একতলা বাটীতে, সমস্ত দিন জলে ভিজিয়া একহাঁটু কাদা পাক লইয়া কাশীনাথ প্ৰবেশ করিল। তাহাব হাতে দুই শিশি ঔষধ, এক টিন বিস্কট ও চাদরে বাধা বেদান প্রভৃতি কতকগুলি দ্রব্য ছিল। এই বাটীর একটি কক্ষে নীচের শয্যায় একজন রোগী শিয়ান ছিল এবং নিকটে বসিয়া একটি স্ত্রীলোক তাহার মস্তকে হাত বুলাইতে ছিল। কাশীনাথ প্ৰবেশ করিলে স্ত্রীলোকটিকহিল, কাশীদাদা, এ৩ জলৈ ভিজে এলে কেন ? কোথাও দাড়ালে না কেন ? তা কি হয় বোন ? জলে ভিজে ক্ষতি হয় নি, কিন্তু দাড়ালে ਲਲ ‘ਚ ! তা বটে। বিন্দু বুঝিয়া দেখিল, কাশীদাদার কথা অসত্য নহেতাই চুপ কবিয়া রহিল । এই কয় বৎসর ধরিয়া বিন্দু যে ক্লেশ ভোগ করিয়া আসিতেছে তাহা কেবল সেই জানে। আমরা তাহার বাপের বাড়ীতে তাহাঝে, শেষ দেখিয়াছিলাম, আর দেখি নাই। এখন একটু তাহার কথা বলি। যেদিন সে জমিদারের মেয়েকে দেখিতে যষ্ঠ Tার সমস্ত উদ্যোগ করিয়াণ্ড যাইতে পায় নাই, তাহার পরদিনই গোলিবাবুর (তাহার শ্বশুরের) সহসা কঠিন ব্যাধির সংবাদ পাইয়া তাহাকে স্বামী-ভবনে চলিয়া আসিতে