পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किबद्ध प्रल আর একজন বলিল-ফয়জদি বিশ্বেসের গোকুলডোর মত দেখতিনা মামু? পূর্বের লোকটি বলিল-সে তো খুঁজি শিংয়ে গাই— এডার মত নয় ; বুধকে একজন আসিয়া ধরিয়া ফেলিল। বুৰী তখন অত্যন্ত ক্লান্ত, সাধ্য নাই যে পালায় । সবাই মিলিয়া দেখিয়া বলিল—এড়া তিন গায়ের গোরু, ছাড়ান দাও, কি কত্তি কি হবে, দরকার কি পরের গোরু বেঁধে, শেষকালে কি একটা থানা পুলিশির হাংগমায় পড়তি যাবা ? ছাড়ান দাও। দলের মধ্যে একটা লোক ছিল, সে মানুষের মত মানুষ, তার হৃদয় আছে। সে বলিল, আহা, কাদের গোরুডো ? হাড়সার হয়ে গিয়েচে । এড়া বোধ করি মামু, চালানের পাল থেকে পালিয়ে আসচে। বাড়ী নিয়ে দু'টো সানি খেতে দিইগে-তারপর ছাড়ান দিবানু। কিন্তু অন্য লোক তাহাকে বাধা দিল। বাড়ী লইয়া যাইতে দিল। না । বুৰী সেখান হইতে গ্রামের বাহিরের রাস্ত ধরিল। তারপর একদিন আসিল ভীষণ বিপদ। বুধীর ভীষণ তৃষ্ণ পাইয়াছে—কোথাও জল পায় না। অবশেষে একটা কি নদী পাওয়া গেল। তৃষ্ণায় তাহার ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে- সে জলের ধারে জল খাইতে গিয়া নরম পাকে পুতিয়া গেল। এ পাখানা উঠাইতে যায় তো ওখানা ডুবিয়া যায়। ক্লান্ত বুধী সে গভীর হাবড় হইতে নিজেকে কিছুতেই উদ্ধার করিতে পারিল না। জলও খাওয়া গেল না।--তৃষ্ণায় ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে অথচ দু’হাত দূরে টলটলে কালে জল। সে ক্রমশঃ পাকে পুতিয়া যাইতে লাগিল-শেষের দিকে বুধীর আর জ্ঞান রহিল। ন-শকুনিতে তাহার চক্ষু দু'টি ঠাকুরাইয়া বাহির করিয়া ফেলিবে, মুচিরা ছাল ছাড়াইয়া লইয়া যাইবে, হাড়গোড় সাদা হইয়া পড়িয়া থাকিবে জলের ধারে, হাড়-দোঝাই নৌকা একদিন কুড়াইয়া নৌকায় বােঝাই দিবে-মাংস খাইবে শিয়াল-শকুনিতে—এ নিষ্ঠুর, অনতিদূর